গ্রামীণ মায়েদের ঈদ প্রস্তুতি
খই-মুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত গৃহীনি
বছর শেষে সন্তান ফিরবে বাড়ি। পথের একরাশ ক্লান্তি সঙ্গে নিয়ে মায়ের সান্নিধ্যে তৃপ্ত হবে সে। আর সন্তানের পাতে জমিয়ে রাখা ‘ভালোবাসা’ তুলে দিয়ে হাসবেন মা। আবহমান কাল ধরে বাঙালি মায়েদের কাছে তাই পরম আরাধ্য সময় ঈদ। গ্রামীণ জনপদের মায়েদের তাই এখন বেড়েছে ব্যস্ততা। মেয়ে-জামাই আর নাতি-পুতিদের জন্য খই-মুড়ি আর নানান চিরায়ত রান্নায় এখন ব্যস্ত তাদের হেঁসেল। গাইবান্ধার বুজরুক রসুলপুর গ্রামের বিধাবা জরিনা বেওয়া জানালেন ঈদে মেয়ে-জামাই ও নাতী-পুতিরা আসবে, এজন্য খই-মুড়ি তৈরি করছি। প্রায় এক সপ্তাহ আগ থেকে গ্রামীণ নারীরা ব্যস্ত রয়েছেন বাড়ির সব কাপড়-কাচা ও ঘর-দোর পরিস্কারের কাজে। এরপর গ্রাম্য রমণীদের আরেক বিশেষ কাজে ব্যস্ত হয়ে যেতে দেখা যাবে। সেটা হলো ঈদে চাঁদ দেখার পাশাপাশি ঈদের সকালে সেমাই রান্নার যাবতীয় বন্দোবস্ত করতে। সেজন্য প্রায় বাড়িতে হাতের সেমাই খই-মুড়ি তৈরিতে ভীষণ ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে। বেটি-জামাইদের একেক দিন একেক জনের বাড়িতে একসঙ্গে দাওয়াত খাওয়া চলবে প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী। যারা শ্বশুর বাড়িতে জামাই হয়ে আসবে, তারা সত্যিই সেদিন ভাগ্যবান হয়েই আসবে।