গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে রবিকে আবারও জরিমানা
গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডকে আবারও আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কিছুদিন আগেই অপারেটরটির নামে তিনটি সুনির্দিষ্ট প্রতারণার অভিযোগে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এর কিছুদিন পরে আবারও জরিমানার মুখোমুখি হলো অপারেটরটি। জানা গেছে, বিজ্ঞাপনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা না দেওয়ার কারণে আনিসুল হাই নামের এক গ্রাহক জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয়ে প্রতারণার অভিযোগ করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রবিকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম। তবে জরিমানা করা হলেও যথারীতি এবারও টাকা পরিশোধ করতে গড়িমসি করে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। অপারেটরটি রায়টি একাধিকবার পুনর্বিবেচনা চেয়ে সময়ক্ষেপণ করে। অবশেষে ঈদের আগে ১৮ জুন জরিমানার পুরো টাকা পরিশোধ করলে জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে ৬২ হাজার ৫০০ টাকা বুঝে পেয়েছেন অভিযোগকারী আনিসুল হাই।
এর কিছুদিন আগে তিনটি সুনির্দিষ্ট প্রতারণার অভিযোগে রবিকে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কারওয়ান বাজার কার্যালয়। তবে সে টাকাও পরিশোধে অনেক সময় নেয় অপারেটরটি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রথম অভিযোগ আসে। দ্বিতীয় অভিযোগ ২ মার্চ এবং তৃতীয় অভিযোগ আসে ১৩ মার্চ। তিনটি অভিযোগের মূল বিষয় ছিল ঘোষিত অফার অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা না দেওয়া। এই জরিমানার টাকা পরিশোধ করার জন্য বারবার সময় দেওয়ার পরও তারা টাকা পরিশোধ করেনি। এরপর আইনের ৭০(৫) ধারায় রবিকে চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হয় এবং এরপরেও টাকা না দেওয়ার কারণে গত ৩০ মে সমমূল্যের সম্পত্তি জব্দ করতে রবি’র গুলশান অফিসে অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় বাধ্য হয়ে জরিমানার সব টাকা পরিশোধ করে অপারেটরটি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে ‘গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগে’ রবি, গ্রামীণফোন এবং বাংলালিংককে জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার জরিমানার মুখোমুখি হয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। তবে মোবাইল অপারেটর রবির সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা জরিমানা সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।