চামড়ার কুরবানি
আশিন আমরিয়া এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে-দশ পনেরো বছর আগেও, একটি চামড়া দুই থেকে, আড়াই হাজার টাকার উপরে বিক্রি করা যেত। একটি চামড়ার বিক্রিয় মুল্য দিয়ে, ছোট একটি পরিবারের একমাসের অন্নসংস্থানের ব্যবস্থার হয়ে যেত। বর্তমান সময়ে টেনারীশিল্প সহশ্রকোটি টাকার সহযোগিতা পাওয়ার পর এ শিল্পের কাঁচামাল চামড়াটা, কাদাপানির দামও পাচ্ছে না। আড়াইশ গ্রাম চালের দামে একটি চামড়া বিক্রি হচ্ছে। এ মুল্য বিপর্যয়ের দায়ভার কার ? উত্তর জনগণের।
টেনারী শিল্পে যেখান থেকে টাকা দেয়া হয়েছে সেখান থেকেই শুরু হয়েছে সিন্ডিকেট। হাজারকোটি টাকা নাও, অর্ধেক আমাকে দাও। নির্বোধ জনগণকে এমনভাবে ভাগাভাগি করে দিয়েছি শালারা জীবনেও আর এক হতে পারবে না। লুটেপুটে খাওয়ার এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া কর না। জনগণের টাকা তোমাদের মাধ্যমে আমরাও খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। সরকার হয়ে জনগণের টাকা দিয়েছি, আমার অংশ পেয়েছি, জনগণের টাকা যখন ফেরত দিতে হবে না তখন চামড়া না কিনে চুপচাপ বসে থাক। নির্বোধ জনগন ফ্রিতেই চামড়া দেবে, ফ্রি চামড়ার বিপুল লাভ থেকে অর্ধেক আমাদের দিলেই হবে, কেউ কিছু বলবে না। আমরা হলাম সরকার।
শালার জনগণ, এ ভাবেই এক সময় অর্থনৈতিক ভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে। রাজাকার আলবদর, স্বপক্ষের শক্তি, বিপক্ষের শক্তি, প্রলাপ বকতে বকতে। আমার কথা শোন, লক্ষটাকার গরু কুরবানি দেবে, দুই হাজার টাকার চামড়াটা মাটিতে পুতে দেশের মাটির জন্য পারলে চামড়াটি কুরবানি দাও। দেশমাতৃকার মাটি উর্বরাশক্তি পাবে। কুত্তারা একটু হলেও বুঝবে নয়তো তুমি সারাজীবন শালার জনগণ হয়ে থাকবে !!!