চালু হচ্ছে ১০০ থেকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট উন্নিত সদর হাসপাতাল
চলতি বছরের অক্টোবরেই বহুল কাক্সিক্ষত সুনামগঞ্জ জেলার সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল চালু হচ্ছে। সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস জানিয়েছেন আগামী অক্টোবর মাসেই সদর হাসপাতাল চালুর নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন হাসপাতালটি চালু হলে জেলার স্বাস্থ্যসেবার গুণগত পরিবর্তন আসবে। জটিল রোগেরও চিকিৎসার ব্যবস্থায় আসবেন রোগী। এতে উপকৃত হবে অবহেলিত জেলার ২৫ লাখ মানুষ।সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ২৫ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার কেন্দ্রস্থল সদর হাসপাতাল। ১৯৯৮ সনে ৫০ শয্যা থেকে হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। ২০১৩ সনে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের জুন মাসে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের অপারেশন প্ল্যান (অপি) প্রজেক্ট-এর আওতায় শুরু হয় আধুনিক চিকিৎসার উযোগী নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ। প্রথমে ভবন নির্মাণের বাজেট ছিল ৩০ কোটি টাকা। পরে তা বাড়িয়ে করা হয় ৪০ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার মেয়াদ ছিল গত বছরের জুন মাসে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ওই সময় কেবল ভবনের কাজ শেষ হয়। ভেতরের আনুষাঙ্গিক কাজ বাকি ছিল। তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে হাসপাতালে নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে চলছে। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগামী অক্টোবর মাসেই চালু করার উপযোগী করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করতে ৮তলা বিশিষ্ট ভবনটি।জানা গেছে, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রতিটি বিভাগেই পৃথক স্বাস্থ্যসেল থাকবে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ প্রতিটি বিভাগে একাধিক ডাক্তার থাকবে। তবে ভবন চালুর সঙ্গে সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক ডাক্তারও নিয়ে আসার জন্য স্থানীয় রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মানুষজন। বিশেষ করে সরকার দলের সাংসদ ও মন্ত্রীসহ সবাইকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানোর দাবি সুধীজনের।ধর্মপাশা উপজেলার বাবুপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান স্বপন বলেন, আমাদের জেলা দীর্ঘদিন ধরে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত। জেলা সদর হাসপাতালের প্রতি সবার নজর থাকলেও সেখানে ডাক্তার ও আবাসিক সংকটের কারণে ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা মিলছেনা। জেলা সদর হাসপাতাল চালু হলে উপকৃত হবেন জেলার সাধারণ মানুষ। তবে দ্রুত হাসপাতালটি চালু ও জনবল নিয়োগের বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ-মন্ত্রীকে তৎপর হতে হবে।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস বলেন, আগামী অক্টোবর মাসেই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল চালুর নির্দেশনা রয়েছে। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। হাসপাতালটি চালু হলে স্বাস্থ্যসেবায় পরিবর্তন আসবে, উপকৃত হবে জেলাবাসী। হাসপাতালটি দ্রুত চালু ও পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগে স্থানীয় প্রতিমন্ত্রী-সাংসদদের সহায়তা কামনা করেন তিনি।