চাল ‘চুরি’ করায় স্ত্রীকে হত্যা, ডোবায় লাশ ফেলে নিখোঁজের অভিনয়
বগুড়া ::নানি শাশুড়ির বাড়ি থেকে আড়াই কেজি চাল না বলে নিয়ে এসেছিলেন ফাতেমা খাতুন (২০)। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে স্বামী আল আমিন (২৫) তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। পরে স্ত্রী নিখোঁজের অভিনয় করেন। তবে বেশিক্ষণ অভিনয় অব্যাহত রাখতে পারেননি। বৃহস্পতিবার (৮ মে) বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আল আমিন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাদাপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি আল আমিন (২৫) প্রায় দু’বছর আগে পার্শ্ববর্তী নন্দীগ্রাম উপজেলার কৈগাড়ী গ্রামের রমজান আলীর মেয়েকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ১০ মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে। ফাতেমা মঙ্গলবার (৫ মে) কাউকে না জানিয়ে নানি শাশুড়ির ঘর থেকে আড়াই কেজি চাল নিয়ে আসেন। জানাজানি হলে রাতে আল আমিন তাকে শাসন করে। এ সময় ফাতেমাও রেগে গিয়ে স্বামীর ওপর চড়াও হন। তখন আল আমিন ক্ষুদ্ধ হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করে লাশ বাড়ির কাছে একটি ডোবাতে ফেলে আসে। এরপর সে ফাতেমাকে নিখোঁজ প্রচার করে অন্যদের সঙ্গে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। বুধবার (৬ মে) সকালে ওই ডোবাতে ফাতেমার লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ফাতেমার মা চম্পা বেগম থানায় জামাই আল আমিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার দায় স্বীকার করে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির জানান, আল আমিনকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।