চিকিৎসক সংকটে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : বাঞ্চিত ৩ লাখ মানুষ
ডা. সুমন বর্মণ বলেন, প্রতিদিনেই রোগীদের ভিড় বাড়ছে। কিছুই করায় নেই। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের যতটুকু সম্ভব আমি একাই চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা থেকে ১০কিলোমিটার দূর বাদাঘাট ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আলীনুর মিয়া জানান, হাসপাতালে ভাল কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাই। মহিলাদের জন্য নাই গাইন ডাক্তার। এছাড়াও দাঁতের ডাক্তার, এক্সরে, ল্যাব টেকনেশিয়ানসহ বিভিন্ন পদ শূন্য থাকার কারনে উপজেলাবাসীকে জেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীদের চাপ। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জনসাধারনের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্থ করেন। উপজেলায় চিকিৎসাসেবাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে ইতোমধ্যে সরকার এটিকে ৩০ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেছে। নতুন ভবনটি চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও সুনামগঞ্জ-১এর সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। ৩০ শয্যা বিশিষ্ট থাকাকালে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের পদ ছিল ৯টি। ৫০ শয্যায় উন্নীতকরনের পর নতুন লোকবল নিয়োগ হবে, নিশ্চিত হবে এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা এমনটাই আশা করেছিলেন এলাকাবাসী।