চুরি-ছিনতাই-রাহাজানি আতঙ্কে পুরো ঢাবি ক্যাম্পাস
সাইফুল ইসলাম খান–
কোথায় চোর নেই? হাট-বাজর, শপিং মল, যানবাহন ও পাবলিক প্লেস থেকে শুরু করে ধর্মীয় উপাসনালয় সব জায়গায় ঘটে চুরির ঘটনা। নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেও নিরবে চলে চুরি। সরিষার মধ্যে ভূত থাকলে ভূত তাড়ানো কঠিন। ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে দেশ শ্রেষ্ঠ মেধাবী শিক্ষার্থীরা। সেখানেও ঘটে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা। অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থীর বাজে স্বভাবের শিকার হয় অসংখ্য শিক্ষার্থী। সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্পাসে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। আবাসিক হলগুলোর কক্ষ থেকেও চুরি যায় গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু।
ভুক্তভোগী স্যার এএফ রহমান হলের ৪০৬ নং রুমের এক শিক্ষার্থী জানান, বিভিন্ন সময় এই রুম থেকে চুরির ঘটনা ঘটে। এমনই এক ঘটনার ভুক্তভোগী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, সকাল ৬টার কিছু পরেও আমি আমার মোবাইলে টাইম দেখে আমার বেডে বালিশের নিচে রেখেছি। সকাল আটটার দিকে ক্লাসে যাওয়ার সময় বালিশের নিচে হাত দিয়ে দেখি ফোন নেই। ড্রয়ার খুলে দেখি মানিব্যাগও নেই। আমার মানি ব্যাগে বিশ্ববিদ্যালয় ও লাইব্রেরির আইডি কার্ড ছিল, নগদ টাকা ছিল প্রায় সাড়ে চার হাজার আর ডাচ বাংলা ও প্রাইম ব্যাংকের দুটি এটিএম কার্ড ছিল। মানিব্যাগে বন্ধ সিমও ছিল। একইদিনে জগন্নাথ হলের একটি ভবনের ৪৪৪ নম্বর কক্ষ থেকে আরো একটি ফোন চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চুরি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। সপ্তাহখানেক আগে গত ৩০ মার্চ এএফ রহমান হলের ১০৯ নম্বর রুম থেকে চুরি যায় শামীম আহমেদ হীরক নামের এক শিক্ষার্থীর ফোন। একই মাসের ২৩ তারিখে (২৩ মার্চ) চুরি এই হলের ২০৭ নম্বর রুম থেকে চুরি হয় আরো দুটি মোবাইল। এর আগে গত বছরের ১মে একই হল থেকে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী আফসার হাসান রানার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ফরিদ হাসানের, উর্দু বিভাগের মিজানুর রহমান ও ফিনান্স বিভাগের ইরফান খন্দকারের মোবাইল ফোন চুরি গেছে। আর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অপর শিক্ষার্থী তানজিন আল আলামিনের ফোন চুরি গেছে তার নিজ বিভাগে অবস্থান করার সময়।
হলে হলে সাম্প্রতিক সময়ে চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। ফলে নিজ কক্ষেও ছাত্ররা অনিরাপদ বোধ করছে। নিজের থাকার কক্ষে স্বাধীন থাকার মাঝে এখন চোর আতঙ্ক ঢুকে পড়েছে। থানায় সাধারণ ডাইরি করলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না। ফলে চোর চক্রের দৌরাত্ম্য থামছে না। আর মোবাইল চুরির ঘটনাকে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছোট-খাটো ঘটনা হিসেবে দেখে পাত্তা দিচ্ছে না। ফলে প্রতি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল থেকে অসংখ্য মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমেও এসব চুরির বিষয়কে মামুলি ঘটনা বিবেচনা করে কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়না। ফলে এ বিষয়টিকে পুলিশ গুরুত্বসহ দেখছে না।
গত বছরের ২০ এপ্রিল হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল থেকে লাভলু মিয়া নামের এক শিক্ষার্থীর ফোন চুরি হয়। একই হলের ৪৪০ নম্বর রুম থেকে ৪ টি ল্যাপটপ, আরো ৬ টা ফোন এবং ১ টা ডিএসএলআর ক্যামেরা চুরি হয়। মুহসীন হলের শুধু মাত্র ৪/ক গণরুম থেকে গত এক বছরে ৫-৬টি ফোন চুরি হয়েছে। একই হল থেকে কয়েক মাস আগে দুই দফায় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি কবির কাননের ল্যাপটপ ও ফোন চুরি যায়। সার্জেন্ট জহুরুল হক হল থেকে গত বছর একই তারিখে চুরি হয় ইব্রাহীম জাকারিয়ার ফোন। ইব্রাহীম জাকারিয়া বলেন, জিডি করলেও কোনো সুরাহা হয় না। ফোন উদ্ধার হয় না। তাই জিডি করিনি। ২০১৬ সালে রমজান মাসে সেহরির সময় জহুরুল হক হলের ৩০০৩ নং রুম থেকে এনামুল ইসলামের ২ টা ফোন চুরি হয়। এই হলের ২০০৮ নাম্বার রুম থেকে চুরি হয় নিজাম উদ্দিন শেখের মোবাইল। জগন্নাথ হলের অক্টোবর স্মৃতি ভবনের ৪৭৮ নং রুম থেকে সুবর্ণ শিকদার জানান, তাদের রুম থেকে দুইটা স্মার্টফোন চুরি গেছে। প্রায় সময়ই এমন চুরি হয়। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লকের ৮০০৩ নাম্বর রুম থেকে আবু সালেহ মাসুম আহমেদের ‘স্যামসাং গ্রান্ড নিও প্লাস’ মডেলের ফোনটি চুরি যায়। মাত্র ৯ দিনের মাথায় (২২ জানুয়ারী) বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লকের একই রুম থেকে চুরি যায়, ‘অপ্পো এ-৩৭’ মডেলের আরেকটি মোবাইল সেট (শাহবাগ থানার জিডি নং- ১৩৮০)। আর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শুধু বারান্দা (আসন সংকটের কারণে বারান্দায় অস্থায়ীভাবে বেডিং করে শিক্ষার্থীরা) থেকেই প্রতিবছর ৮-১০টি ফোন চুরি হয়।
গত বছরের ২১ জানুয়ারি শামসুন্নাহার হলের ২১৭ নং রুম থেকে সুস্মিতা নন্দীর মোবাইল চুরি যায়। তিনি বলেন, ভোর রাত ৫টার দিকে রুমে ঢুকে আমার ফোন চুরি করে একটি মেয়ে। আমি জেগে গেছিলাম, তখন বারান্দা দিয়ে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। হল প্রশাসন আমাদের অভিযোগ বিশ্বাসই করেনি। রোকেয়া হল থেকে ২০১৬ সালে চুরি যায় নিশাত জাহানের ফোন।
বাদ নেই রিডিং রুমও। হলের রিডিং রুমে পড়তে যেয়ে বই চুরি হওয়ার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়। গত বছরের ৬ অক্টোবর ফজলুল হক মুসলিম হলের রিডিং রুম থেকে নাসিব ইসলাম অভির ফোন খোয়া যায়।
শুধু ক্যাম্পাস বা আবাসিক হলের রুম থেকেই না। চোর চক্রের দৌরাত্ম্য চলছে মসজিদগুলোতেও। গত বছেরের ১১ অক্টোবর সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী তাহসান ইসলামের মোবাইল চুরি হয় এফ রহমান হলের মসজিদ থেকে। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানায় জিডিও করা হয়েছিল (জিডি নং ৭৫৪)। কিন্তু কোন ফল আসে নি। সূর্যসেন হলের অমিত ইমতিয়াজ জানান, হল থেকে এ পর্যন্ত তার একারই তিনবার মোবাইল চুরি হয়েছে। ২০১২, ২০১৪ ও সর্বশেষ ২০১৭তে একটি করে তার মোট তিনটি ফোন চুরি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও হল থেকে মোবাইল চুরির ঘটনাকে ছোট-খাটো অপরাধ হিসেবে দেখে তার কোন তদন্ত করে না থানা পুলিশ। ফলে চোর এবং ছিনতাইয়ের সাথে জড়িতরা থেকে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। শাহবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন চুরির ঘটনায় জিডি করতে আসেন। তবে আইডি কার্ড হারানো এবং ফোন চুরির ঘটনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জিডি জমা পড়ে।
এদিকে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সামনে প্রকাশ্যে ছিনতাইকারীরা একজনকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় মনিরুজ্জামান মাসুম নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের একজন সাবেক শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনার বর্ণনায় সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, দু’টি মোটরসাইকেলে চারজন আরোহী এসে মাসুমকে ঘিরে ধরে তার সাথে থাকা পাসপোর্টের ব্যাগ টানাটানি করে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এ সময় চারদিক থেকে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে ব্যাগটি না নিয়ে ছিনতাইকারীরা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায়।
গত ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার প্রকাশ্য দিবালোকে বেলা ১০টার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইমারত হোসেন ইমু শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। তার ডায়েরি নং-১৯১১। তবে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী পূর্বপশ্চিমকে বলেন, বছরখানেক আগে আমার একটি ফোন হারিয়ে যায়। আমার ফোনে বেশ কিছু ছবি ছিল। যা নিয়ে আমি বেশ চিন্তিত ছিলাম। ছবিগুলো দিয়ে আমাকে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করারও সুযোগ ছিল। আমি দ্রুত থানায় মামলা করে অবশেষে আমার ফোনটি উদ্ধার করতে পেরেছিলাম। আমার কাছে মোবাইলটির চেয়েও আমার মোবাইলে থাকা মেমরি কাডটি উদ্ধার করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আরো কিছু ঘটনা:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল যুবায়ের ভূঁইয়া ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ব্যক্তিগত একটি গাড়ি থেকে ছোঁড়া গুলিতে আহত হন। সে ঘটনার পর মামলা নিতেও টানাটানি করেছিল শাহবাগ ও লালবাগ থানা।
গত ২১ নভেম্বর বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের একটি ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে নেদারল্যান্ডসের রাষ্টদূত লিওনি মারগারেথা কোয়েলিনেয়ারের ভ্যানিটি ব্যাগ চুরির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের তৎপরতায় মাত্র দুই দিনের মাথায় ২৩ নভেম্বর দুপুরে রাজধানীর শনিরআখড়া থেকে রুবেল ও শাওন নামে দুই চোরকে আটক করে ভ্যানিটি ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়।
২০১৬ সালের ৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকায় আজম উদ্দিন নামের একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সাত লাখ টাকা ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিন বিকেলে তিনি দোয়েল চত্বর হয়ে রিকশাযোগে মালামাল কিনতে চকবাজারে যাচ্ছিলেন। রিকশাটি শহীদুল্লাহ হল পেরিয়ে দোয়েল চত্বর পৌঁছলে দুটি মোটরসাইকেলে করে ৪ জন যুবক ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার গতিরোধ করে। এরপর তার ব্যাগে অস্ত্র আছে বলে ওই চক্রটি তল্লাশি চালানোর নাম করে ব্যাগটি নিয়ে নেয় এবং ওই ব্যবসায়ীকে চড়-থাপ্পড় মেরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্যাগে থাকা সাত লাখ টাকা নিয়ে চলে যায়।
২০১৫ খ্রিস্টাব্দে ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন ওই হলের দুইজন শিক্ষার্থী। ঘটনার শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জাহিদ হাসান ও স্বাস্থ্য অর্থনীতির আব্দুল আলীম খান। তাদের কাছ থেকেও একই কায়দায় হলের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, নগদ তিন হাজার টাকা, দুটি এটিএম কার্ডসহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতির শিক্ষার্থী আব্দুল আলীম খান জানিয়েছিলেন, ঐদিন রাতে হল গেটের সামনে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাস থেকে তিন জন নেমে অস্ত্র দেখিয়ে তাদের দুজনের কাছ থেকে সব ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের হাতে হকিস্টিক, রামদা ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সেই ঘটনার পর পুলিশের সাহায্য চাইলেও কোন সাহায্য পাননি তারা।
প্রশাসনের বক্তব্য:
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক পূর্বপশ্চিমকে বলেন, সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের আবাসিক হলের রুম থেকে চুরির ঘটনাগুলো একেবারেই অপ্রত্যাশিত। আমি শিক্ষার্থীদের বলবো, চুরির ঘটনা ঘটলে তারা যেন হল প্রশাসন বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম এবং তাদের মাধ্যমে থানায় যোগাযোগ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রক্টর আমজাদ আলী পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ‘ঢাবি ক্যাম্পাসে চুরি ছিনতাইসহ যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য ইতোমধ্যে পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। হলে এসব ঘটনা ঘটলে সেটা অবশ্যই দু:খজনক। হলগুলোর অভ্যন্তরীণ প্রশাসনকে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেই। প্রতিটি হলের রুমে রুমে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করাটাও কঠিন। শিক্ষার্থীদের মোবাইল, ল্যাপটপ, মানিব্যাগ সাবধানে রাখা উচিত। সর্বোপরি চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ‘আবাসিক হলের ভেতরে এই ধরনের চুরির ঘটনা বেশ উদ্বেগজনক। হলগুলোর ভিতরে আমরা টহল দিতে পারি না। তবে কর্তৃপক্ষ বা ভুক্তভোগীরা আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা সাহায্য করবো। এছাড়া কেউ যদি মোবাইল-ল্যাপটপ চুরির ব্যাপারে অভিযোগ করেন তাহলে পুলিশ তা উদ্ধার করার চেষ্টা করে। ক্যাম্পাসে চুরি-ছিনতাইসহ যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আমাদের টহল টিম সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। তাৎক্ষনিক কোন ঘটনা তাদেরকে জানালে তারা সাহায্য করে।’