বার্তা ডেক্সঃঃনিজেদের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম বলে দাবি করেছে ফাইজার ও বায়োনটেক। তৃতীয় ধাপের গবেষণার প্রাথমিক বিশ্লেষণে এমন প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে তারা। এ মাসের শেষ দিক থেকে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের জন্য এফডিএ’র জরুরি অনুমোদন পেতে আবেদনের পরিকল্পনা করছে ওষুধ কোম্পানিগুলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকার মধ্যেই এগিয়ে চলেছে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গবেষণা। বিশ্বজুড়ে ১৪০টিরও বেশি গবেষণার কাজ চললেও ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি চূড়ান্ত পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার এবং জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োনটেক-এর যৌথভাবে উৎপাদিত ভ্যাকসিন এর একটি।

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তুরস্ক—এই ছয় দেশের ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষের ওপর ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। দেখা গেছে, ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সাতদিন পর ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে।যাদের আগে কখনও করোনা সংক্রমণ হয়নি, এমন মানুষের ওপর চালানো এ পরীক্ষায় দেখা গেছে যে টিকা দেওয়ার পর শরীরে করোনাভাইরাস প্রবেশ করলেও তাদের কোভিড-১৯ হয়নি৷ একে বিজ্ঞান ও মানবতার জন্য ‘এক মহাদিন’ বলে উল্লেখ করেছে ভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান দুটি।

ফাইজারের চেয়ারম্যান আলবার্ট বুরলা বলেন, ‘এ স্বাস্থ্য সংকটের সমাপ্তি টানতে যুগান্তকারী আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে সহযোগিতা করার মাত্র এক কদম দূরে দাঁড়িয়ে আছি আমরা।’ বায়োনটেকের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন অধ্যাপক উঘুর সাহিন এ ফলকে ‘মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ফাইজার ও বায়োনটেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকা সরবরাহে এরইমধ্যে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থের চুক্তি সই করেছে৷ চুক্তি সই হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপানের সঙ্গেও৷ সময় বাঁচাতে এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে উৎপাদনও৷ ২০২০ সালেই প্রতিষ্ঠান দুটি পাঁচ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করতে চায়৷ ফাইজারের আশা, এ বছরের শেষ নাগাদ ৫ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে সক্ষম হবে তারা। আর ২০২১ সালের শেষ নাগাদ সরবরাহ করা যাবে প্রায় ১৩০ কোটি ডোজ। অবশ্য, এ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জ রয়েছে। একে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে রাখতে হবে। কতদিন ধরে মানুষের শরীরে ইমিউনিটি বজায় থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে গেছে। বয়সভেদে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা কেমন তা স্পষ্ট করেনি ওষুধ কোম্পানিগুলো।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn