ছাতকের কালারুকা সড়কে বেহাল দশা : সংস্কারের উদ্যোগ নেই
শাহ্ মো. আখতারুজ্জামান-
ছাতক উপজেলার কালারুকা-আরতানপুর-রামপুর-তাজপুর সড়কের বুররাপুর থেকে আজিধরপুর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কের এখন বেহালদশা। চলাচলে অনুপযোগী এই সড়কটি গত ৮ বছর ধরে কোন সংস্কারকাজ না-হওয়ায় এই অঞ্চলের দু’টি উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। সড়কটি সংস্কার না-হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের কালারুকা পয়েটে থেকে কালারুকা বাজার হয়ে আরতানপুর-রামপুর দিয়ে তাজপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ)-এর সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে।
ইউনিয়নের অধিকাংশ জনগোষ্ঠি এই সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন। সড়কের বুবরাপুর থেকে আজিধরপুর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত নাজুক পড়ে আছে। সংস্কারহীন এ সড়কের অনেক স্থানে সড়কের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। ছোট-বড় গর্তের কারণে সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচলও দুরূহ হয়ে পড়েছে। সড়কের এই অংশে রয়েছে রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
এছাড়া রামপুর, মানিকপুর, উদুপুর, পইলনপুর, সিকান্দরপুর, আজিধরপুর, ছিক্কা, আরতানপুর ও দিগলবন্দ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের যাতায়াতে একমাত্র অবলম্বন এই সড়ক। ভাঙাচোরা সড়কে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্দশাগ্রস্ত এই সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ছাতক উপজেলার পার্শ্ববর্তী সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পারকুল, যোগিরগাঁও, খালপাড়, হেংলাকান্দি ও নোয়াগাঁও গ্রামের লোকজনও এ সড়কটি ব্যবহার করে জেলা ও বিভাগীয় শহরে আসা-যাওয়া করে থাকেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী শামীম তালুকদার, আমিনুর রশীদ তালুকদার, চেরাগ আলীসহ একাধিক লোকজন জানান- সড়ক সংস্কারে বিষয়ে জনপ্রতিধিদের অনুনয়-বিনয় করেও কোন ফল হয়নি। বেহাল দশার কারণে সড়ক সংলগ্ন মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের যাতায়াত করতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। কালারুকা ইউপি চেয়ারম্যান অদুদ আলম জানান- দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কটি বেশ কিছু অংশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। মাসিক সমন্বয় সভায়ও আলোচনা হয়েছে। এ সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার আবেদন-নিবেদন করেও সংস্কারের ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান চৌধুরী বকুল জানান- শুধু এই সড়ক নয়, অনেক সড়কের একন বেহাল দশা। কালারুকা থেকে তাজপুর পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার কাজে ছাতকের সাবেক প্রকৌশলী দায়ী। সংস্কার কাজে দুর্নীতি-অনিয়মের কারণেই সড়কের এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।