ছাতকের নানা খবর পাঠিয়েছেন চান মিয়া
মিথ্যা মামলা দায়েরে ৬গ্রামবাসির প্রতিবাদ সভা
ছাতকের ছৈলা-আফজালাবাদ ইউপির খলাগাঁও গ্রামে ৬গ্রামবাসির এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ইউপি সদস্য মিলন লাল ধরের সভাপতিত্বে ও ফয়জুল হকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সাহিদ আলী, হানিফ আলী, গৌরাঙ্গ, মনাই মিয়া, ছায়েদ মিয়া, আবদুল মালিক, আবদুল আহাদ, আকিক মিয়া, বাবুল মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, নিবারণ দাস, আবদুল করিম, জিলু মিয়া, সুরেশ দাস, আবদুস শহিদ, আজাদ মিয়া। সভায় মোশাহিদ আলী, মছদ্দর আলী, ইলিয়াছ মিয়া, মনির উদ্দি, আবদুল খালিক মনাই, কামাল উদ্দিন, আবদুল হামিদ, শামিমুল আলম, আনসার আলী, দ্বীপঙ্কর, সাবেক মেম্বার লিলু মিয়াসহ খলাগাঁও, বিনোদপুর, বাগইন, কহল্লা, বানারশিপুরসহ ৬গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, খলাগাঁও গ্রামের মৃত সাজ্জাদ মিয়ার বসত ঘরে গৃহ পরিচারিকার কাজে নিয়োজিত সুজিনা বেগম (১৭)কে গৃহকর্তার পুত্র মামুন, মনাফ মিয়ার পুত্র রোমান ও চেরাগ আলীর পুত্র রাজু তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে সে ৪মাসের অন্তঃসত্তা হলে তার পিতা ওয়ার্ড মেম্বার মিলন লাল ধরসহ গ্রামের কিছু লোককে অবহিত করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর দু’দিন পর হাসপাতাল থেকে ঘটনার মূল ঘটনাকারিদের প্ররোচনায় হাসপাতাল থেকে তাকে কৌশলে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। পরে সুজিনাকে বাদি সাজিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে আরজু মিয়ার পুত্র ফয়জুল হক, আবদুর রউফের পুত্র ছমির ও বশর মিয়ার পুত্র কবিরকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (পিটিশন নং ৯৪/২০১৭ইং) দায়ের করে। বক্তারা নিরাপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়েরি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান। হাসাপাতাল থেকে পালিয়ে যাবার পর সুজিনার পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। তাদের মূল বাড়ি দিরাই উপজেলার পুরাতন কর্নগাঁও গ্রামে।
দক্ষিণ ছাতক উপজেলা বাস্তবায়নের দাবি
বৃহত্তর ছাতকের দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে ‘দক্ষিণ ছাতক দোলারবাজার’ নামে পৃথক উপজেলা ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দোলারবাজারে উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আলী আকবরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাওলানা জিয়াউর রহমানের পরিচালনা অনুষ্টিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট মুরব্বী সুনাহর আলী, যুগ্ম সম্পাদক নাসির মিয়া নেছার, নূর মিয়া, মৌলভীবাজার ডিভি পুলিশ পরিদর্শক মো. লুৎফুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক হাসিম উল্লাহ, ছায়েদ মিয়া, আরিফ আহমদ-জমির মেম্বার, আরব আলী, আবদুল আলিম মেম্বার, মাহমুদ আলী মেম্বার, ফটিক মিয়া, রইছ আলী মেম্বার, আবুল কালাম মেম্বার, নজরুল ইসলাম, আব্দুল খালিক, মন্তাজ আলী, রইছ আলী, শামছ মাহবুব, নিজাম উদ্দিন, মাওলানা আবদুর রহমান, আবদুল আউয়াল, সালেহ আহমদ, টিএম রায়হান, আকবর আলী, হেলাল আহমদ, ফখর উদ্দিন, আবু সালেহসহ দোলারবাজার, দক্ষিণ খুরমা, ছৈলা-আফজালাবাদ, ভাতগাঁও, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ও সিংচাপইড় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে দক্ষিণ ছাতক উপজেলা বাস্তবায়নের দাবিতে এক মানববন্ধব কর্মসূচি পালন করা হয়। বক্তারা বলেন, ভৌগলিক ক্ষেত্রে দোলারবাজার হচ্ছে মধ্যবর্তী স্থান। এখানে রয়েছে পর্যাপ্ত সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধিন ভূমি। রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, ব্যাংকসহ একটি নদী বন্দর। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থাও অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক উন্নত। এজন্যে তারা সরকারের কাছে এখানেই দক্ষিণ ছাতক উপজেলা সদর ঘোষণার দাবি জানাচ্ছেন।
শিক্ষকের মুক্তিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ছাতকে শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার দোলারবাজার ইউপির মঈনপুর জনতা মহাবিদ্যালয়ের সম্মূখস্থ সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে জনতা কলেজ, পালপুর মাদরাসা, দোলারবাজার মাদরাসা, সিংচাপইড় মাদরাসা, মঈনপুর ও পালপুর হাইস্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। জনতা কলেজের ইংরেজী প্রভাষক রুহুল করিম শিবলুর মুক্তি ও তার উপর দায়েরি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজ শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম রতন, এমদাদ মিয়া, সিরাজুল ইসলাম সেজুল, নোমান আহমদ, শাহাব উদ্দিন, লোকমান আহমদ, মনোয়ার হোসেন, এমদাদ মিয়া, আশরাফ আহমদ, কামরান আহমদ, রায়হান আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিপন আহমদ, শাহ হারুন, সুলতানা আক্তার, তারান্নুম বেগম, আনিছা আক্তার, নিলীমা আক্তার শোভা, তামান্না বেগম, শাম্মী আক্তার, লাকি বেগম, দীমা বেগম, রাসেল আহমদ, আকিল হোসেন, ফখর উদ্দিন, ইকবাল হোসেন, সাকিল আহমদ, রেনেসা সংস্থার আব্দুল লতিফ, আনোয়ার হোসেন, মাদরাসা শিক্ষার্থী জাবেদ আহমদ, ফয়ছল আহমদ, পালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদ আহমদ, মুক্তার হোসেন প্রমুখ। সভায় বক্তারা গ্রাম্য রাজনীতির শিকার প্রভাষক শিবলুর উপর থেকে অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় তারা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। ##।##
গরু ছেড়ে দেয়ার মুক্তিপন তুলতে বিকাশ ঘরে দু’চোর গ্রেফতার
ছাতকে বিকাশে মুক্তিপনের টাকা তুলতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে দু’গরুচোর। চরির গরু ছেঢ়ে দেয়ার কথা বলে মালিকের কাছ থেকে সিলেটের একটি বিকাশ নাম্বার দিয়ে তারা ২০হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে। বৃহস্পতিবার (১৮মে’) রাতে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬মে’ উপজেলার কালারুকা ইউপির আকুপুর গ্রামের মৃত আকরম আলীর পুত্র হতদরিদ্র উকিল আলীর ঘরের বেড়া কেটে ২টি গরু চুরি করা হয়। এরপর থেকে উকিল আলীসহ ও তার আত্মীয়-স্বজনকে টাকার বিনিময়ে এগুলো ছেড়ে দেয়ার অশ্বাস দেয় স্থানীয় করছখালী গ্রামের মৃত মজম্মিল আলী (মজই) এর পুত্র ডাকাতিও খুনসহ একাধিক মামলার আসামি, পেশাদার গরুচোর ওয়ারিছ আলী (৪০)। পরে সিলেটের একটি বিকাশ নাম্বার দিয়ে এ নাম্বারে ২০হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়ে গরুগুলো তার কাছ থেকে ফেরত নেয়ার আশ্বাস দেয়। এতে উকিল আলী বিকাশের দোকানে পুলিশ পাঠিয়ে দিলে টাকা নিতে আসা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাঘারপার গ্রামের মাসুক মিয়া (৩৮) কে টাকাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক করছখালী ইলামের বসতবাড়ি থেকে ওয়ারিছ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (১৯মে’) তাদেরকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ২০এপ্রিল আকুপুর গ্রামের মৃত কলমধর আলীর পুত্র মাসুক মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে আরো দু’টি গরু চুরি করা হয়। ছাতক থানার অফিসার্স ইনচার্জ আতিকুর রহমান গরুচোরদের জেল হাজতে প্ররনের কথা স্বীকার করেছেন।