ছাতকের বন্ধ থাকা ছনবাড়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
ছাতক সংবাদদাতা :: ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের ছনবাড়ীবাজার বন্ধ থাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছেন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী রাজিব মোস্তফা। বন্ধ থাকা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র পুনরায় চালু করার দাবীতে ছনবাড়ীবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র রক্ষা কমিটি ও এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে সম্প্রতি একটি স্মারকলিপি প্রদানের প্রেক্ষিতে বুধবার সরজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কৃষ্ণদাস রায় ও মাঠ পরিদর্শক ধীরাজ কুমার দাস কর্মকর্তার সাথে ছিলেন । পরিদর্শনকালে স্থানীয় লোকজন যেকোন মুল্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রটি পুনরায় চালু অথবা বিকল্প ব্যবস্থায় চালু করার দাবী জানান। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হেকিম ইউনিয়নের স্বাস্থ্যরসেবা বঞ্চিত মানুষের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে বলেন, এ এলাকায় বর্তমানে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার আশংখাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জটিল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে যথা সময়ে রোগী নিয়ে সদর হাসপাতালে যেতে পারছে না। তাই জরুরী ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি করা প্রয়োজন। ভুক্তভোগী মানুষের দাবী বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী রাজিব মোস্তফা। এ সময় আব্দুল জব্বার খোকন, লাল মিয়া মেম্বার, ইউনুছ আলী, জাহাঙ্গির আলম রাসেল, কদ্দুছ মিয়া, ময়না মিয়া, আজর আলী, শফির মিয়া, মদরিছ আলী, মকবুল মিয়া, আব্দুল হক, তৈয়ব আলী, আহমদ আলী, মখলিছ আলী, আবুল হোসনসহ লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ছনবাড়ীবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রটি ভুমি জটিলতা ও মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ২০০৪ সাল থেকে বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকে। ব্যক্তি মালিকানাধীন ভুমিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হওয়া কারনে ভুমি মালিকের মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় পড়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে পড়লে ইউনিয়নের ১১টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ভুমির মালিকানা দাবী করে শহরের বাসিন্দা মৃত নগরবাসী রায়ের পুত্র ঋষিকেশ রায় সুনামগঞ্জ আমলগ্রহনকারী আদালতে স্বত্ত্ব মোকদ্দমা দায়ের করেন। দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর পর ১৯৯২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ জজ আদালতের সাব জজ এসএম মুজিবুর রহমান বাদী ঋষিকেশ রায়ের পক্ষে রায় প্রদান করলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবিষ্যত হয়ে পড়ে অনিশ্চিত। পরে ভুমি নিজ দখলে নিতে বাদী পক্ষ স্বত্ত্বজারী মামলা (নং-২/১৯৯৯) দায়ের করেন। ২০০৩ সালে আদালতের মাধ্যমে থানা পুলিশ বিল্ডিংসহ ভুমি বাদীকে দখল সমজিয়ে দিলে বিকল্প ব্যবস্থায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু করার দাবী উঠে।