ছাতকে এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গোটা উপজেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্ঠি হয়েছে। জানা যায়‚ ২০১৭ সালের (২৫ ডিসেম্বর) ছাতক পৌর শহরের বাগবাড়ি এলাকার বাবুল মিয়ার মেয়ে ছাতক কলেজের অনার্স পড়ুয়া মার্জিয়া আক্তার জলি (২১) কে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা এলজিইডি অফিসের রিয়াজ উদ্দিন ও বাগবাড়ি গ্রামের দবির মিয়ার স্ত্রী লাইলী বেগম তাকে ছাতক হাসপাতালে নিয়ে যান। ছাতক হাসপাতাল থেকে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। কলেজ ছাত্রীর পিতা বাবুল মিয়া বলছেন, মেয়ের মা- তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তার অসামাজিক কার্যকলাপ ঢাকতে গিয়ে তিনি মেয়েকে হত্যা করেন। কিন্তু মা বলছেন, গলায় কাপড় পেছিয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা কোনটি সঠিক এনিয়ে উপজেলার সর্বত্র নানা গুঞ্জন চলছে। পুলিশ কলেজ ছাত্রীর সুরতহাল রিপোর্ট নিয়েও লুকোচুরি করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মেয়ের মা রুনা বেগম জানায়, সে মেয়ের সাথে পাশাপাশি ঘরে অবস্থান করে আসছে। মৃত্যুর আগের দিন জলির বান্ধবী শহরের বৌলা গ্রামের আব্দুল খালিকের মেয়ে নীলিমা বেগম তার মেয়ের সাথে রাত্রি যাপন করে। পরের দিন সকালে সে যাবার পরেই তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়।
ঘটনার দিন খৃষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় মা সেদিন বাসায় ছিলেন বলে দাবি করে রুনা। কিন্তু বাসায় থেকেও কিভাবে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে রুনা এব্যাপারে মূখ খুলতে নারাজ। মেয়ের পিতা বাবুল মিয়া জানায়, মায়ের অনৈতিক কাজে বাঁধা দেয়ায় তার মেয়ে অনার্স শেষ বর্ষের মেধাবী ছাত্রী জলিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তার মা রুনা। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামণা করেন। ছাতক থানার এসআই শাহিন আহমদ জানান, প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর সময় লাইলী নামের এক মহিলার মাধ্যমে শরির চেক করতে গিয়ে তার গাঁয়ে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। কিন্তু মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত আইনানূগ কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn