ছাতকের হাদা টিলায় টিলা কেটে পাথর উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এখানে প্রতিদিনই পাথর উত্তোলন করছে একটি চক্র। ফলে এখানের পরিবেশ বিনষ্ট ও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বিট ফরেষ্ট বিভাগের বনায়ন প্রকল্প। একবছর ধরে হাদাটিলার সামাজিক বনায়ন প্রকল্প ধ্বংস করে একটি মহল পাথর উত্তোলন ও বিক্রি করছে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্থানীয় একটি চক্রের নেতৃত্বে শতাধিক শ্রমিক টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করে নৌকা ও ট্রলি যোগে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করছে। স্থানীয় একাধিক লোক জানান, ৫-৬শ’ ঘনফুট পাথর প্রতিদিন উত্তোলন করে প্রতি ঘনফুট পাথর ৮০ টাকা মুল্যে বিক্রি করছে তারা। পাথর উত্তোলনকালে বনায়ন প্রকল্পের ধ্বসে পড়া গাছও কেটে বিক্রি করছে এ পাথর খেকোচক্র। হাদা বন বাগান উপকারভোগী দলের সভাপতি সৈয়দ তিতুমীর জানান, হাদা-চানপুর গ্রামের জুনেদ, চান মিয়া, ছমাদ, জয়নাল, বিলাল, দিলাল হিরন মিয়া, কুমারদানী গ্রামের আকবর আলী, দোলোয়ার হোসেন ও আলী আকবরের নেতৃত্বে এখানে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ছাতক থানার এসআই আব্দুল হালিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পাথর উত্তোলনের দৃশ্য দেখতে পান। এসময় পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ছাতক বিট ও বন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন এ ব্যাপারে জানান, ইসলামপুর ইউনিয়নের হাদা টিলায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলন বন্ধ, বনায়ন প্রকল্প ধ্বংস ও সম্ভাব্য দুর্ঘটনা রোধে গত ১২ ফেব্র“য়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। এখানের পাথর খেকো চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে বলে জানান বিট ও ফরেষ্ট কর্মকর্তা সালাউদ্দিন। জানা গেছে ইসলামপুর ইউনিয়নের হাদা টিলা এলাকায় বিট ও ফরেষ্ট বিভাগের ১৭৫ একর ভুমিতে অংশিধারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে বনায়ন প্রকল্প। ২০০৬-০৭ অর্থ বছর থেকে এখানে বনায়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে সফল বনবাগান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে হাদাটিলার এ প্রকল্পটি। কিন্তু পাথর খেকো চক্রের আগ্রাসনে ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বনায়ন প্রকল্পের গাছ ও টিলা। এতে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত ও বিনষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn