ছাতকে তিন মাস ধরে নেই সাব-রেজিস্ট্রার, জনভোগান্তি চরমে
ছাতকে বদলির পর দীর্ঘ ৩মাস থেকে আর কোন সাব-রেজিস্ট্রার যোগদান না করায় ভূমি রেজিস্ট্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার ৩লক্ষাধিক মানুষ। প্রতিদিন শ’ শ’ ভূমি ক্রেতা-বিক্রেতা অফিসে এসে ভূমি রেজিস্ট্রি করতে না পেরে তারা চরম জনভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ফলে গত প্রায় ৩মাসে সরকার ৩কোটি টাকার রাজস্ব পাওনা থেকেও বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতা ও দলিল লিখকরা পড়েছেন আর্থিক সংকটে। জানা যায়, ছাতকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে অধিক দলিল রেজিস্ট্রি ও সরকারি রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। গত ৩১জুলাই সাব-রেজিস্ট্রার শাহ নেওয়াজ খান বদলির পর হায়দার আলী খানকে এখানে নিয়োগ দিলে তিনি এখনও যোগদান করেননি। এমতাবস্থায় ২১আগষ্ট তাহিরপুরের সাব-রেজিস্ট্রার রাজিব মজুমদার প্রতি সপ্তাহে রোববার (একদিন) কাজ করার জন্যে অতিরিক্ত দায়িত্ব পান। কিন্তু দায়িত্ব নিয়েই তিনি দু’মাসের জন্য ঢাকায় ট্রেনিংয়ে চলে গেলে এ অফিস আবারো চরম সংকটে পড়ে।
রোববার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা খাদিজা বেগম, জরিনা বেগম, সাবিনা ইয়াসমিন, ফুলমালা, রংমালা, আব্দুল খালিক, আব্দুর রহিম, নজরুল, আব্দুল হক, ইদ্রিছ আলী, ইবরাহিম আলী ও সিরাজ মিয়াসহ একাধিক মহিলা ও পুরুষ ক্রেতা-বিক্রেতা সিলেটভিউকে বলেন, প্রতি সপ্তাহে একবার করে এসে দেখি অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার নেই। এতে বিয়ে-শাদি, বিদেশ গমন, রোগির চিকিৎসাসহ তাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে আছে বলে জানান তারা। দলিল লিখক সমিতির সুনামগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি শাহাজুল ইসলাম ও ছাতক উপজেলা সেক্রেটারি হাজি সাদেক আহমদ জানান, সপ্তাহের প্রতিদিন অফিস হলে প্রত্যহ ৩০/৩৫টি দলিল রেজিস্ট্রি ও সপ্তাহে শুধু মাত্র একদিন অফিস হলে শতাধিক দলিল রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এব্যাপারে জেলা রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম ছাতকে জামালগঞ্জের সাবরেস্ট্রিার ১৯অক্টোবর ছাতকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান।