ছাতকে পৃথক সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউনিয়নের মায়েরকুল গ্রামে ও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বাড়ির সীমানায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে মায়েরকুল গ্রামের মৃত কলমদর আলীর পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য মাহমুদ আলী ও মৃত আনোয়ার আলীর পুত্র মকবুল আলী পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির(৫০)সহ উভয় পক্ষের ২০ ব্যক্তি আহত হয়। সকালে মকবুল আলী বাড়ির সীমানায় বেড়া দেয়ার সময় প্রতিপক্ষ মাহমুদ আলী বাঁধা দিলে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহত চেয়ারম্যানকে কৈতক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুহিবুর রহমান(২৭), মোশাহিদ আলী(৫০), বশির আলী(৪৫), আতাউর রহমান(১৭), অলিউর রহমান(২০), আলী হোসেন(৩০), মতিউর রহমান(১৬), আক্তার হোসেন(৩০), মিজাজ উদ্দিন(৪৭) মকবুল হোসেন(২৮), কবির হোসেন(২২), আজাদ মিয়া(১৮) দেলোয়ার(১৬) সাকিবুল হাসান(০৮), আবুল খয়ের(১৭), রিপন(২০)সহ আহতদের কৈতক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের দিঘলী-চাকলপাড়া ও ভেরাজপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৪০ ব্যক্তি আহত হয়। এ সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট সংলগ্ন যাত্রী ছাউনীতে ধূমপান করা নিয়ে ভেরাজপুর গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র ফাহিম ও চাকলপাড় গ্রামের আজমল মিয়ার পুত্র হারুন মিয়ার মধ্যে হাতা-হাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠি-সোটা নিয়ে তুমুল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের সময় ইতি টেলিকম সেন্টার ও মন্তাজ এন্টারপ্রাইজ নামক দুটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় ফুটপাতের বেশ কটি দোকান। সংঘর্ষে গুরুতর আহত জুবেল মিয়া(২২), আািজর উদ্দিন(২২), জুনাই মিয়া(৫৫) ও রুয়েল মিয়া(২০)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিরহাম উদ্দিন(৩২), ইকবাল হোসেন(৩০), ইসলাম উদ্দিন(২৮), তাজ উদ্দিন(২৫), ইকবাল(১৮), বজলু মিয়া(৩৫), রুবেল (১৮), ফাইম(২০), মোশাইদ আলী(৪৮), শাহীন মিয়া(২৫), খালেদ আহমদ(৩০), নিছাব(২৫), ব্যবসায়ী নজরুল হক (৩৫)সহ অন্যান্য আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn