ছাতকে প্রবাসির বাসার কেয়ারটেকারের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ছাতকে প্রবাসির বাসার কেয়ারটেকার এক মহিলাকে ধর্ষণের ও লক্ষাধিক টাকা লুঠের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। রোববার উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সুহিতপুর (সিঙ্গুয়া) গ্রামে এঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুহিতপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসি মনাফ মিয়ার বাড়ির দীর্ঘদিন থেকে স্ব-পরিবারে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করছে জগন্নাথপুরের ঈশাখপুর গ্রামের আলী হোসেন। এসুবাদে তার স্ত্রী নাজমা আক্তার নাজমীন (৩০)কে স্থানীয় কতিপয় অসাধু লোক তাকে অসামাজিকতায় লিপ্ত হওয়ায় প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন সকাল ১১টায় নাজমা আক্তার প্রবাসির দেয়া ১লক্ষ টাকা গোবিন্দগঞ্জ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে ঘরে প্রবেশ করেন। এসময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুন্দর আলীর নির্দেশে জনৈক আবুল ফজল আলিম, ফয়জুল হক, আনকার আলী, তাজুল ইসলাম, শামিম আহমদ, রহমত আলী ফয়ছল আহমদসহ ১০/১২জন লোকজন ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ ও নগদ ১লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় নাজমা বেগমের শোর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এব্যাপারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজি সুন্দর আলী জানান, লন্ডনীর বাসার কেয়ারটেকার নাজমা বেগমের বাসায় বহিরাগতদের আসা-যাওয়ায় বাঁধা দেয়ায় তার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ উত্তাপর করছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধিন নাজমা বেগম জানায়, সাবেক চেয়ারম্যান সুন্দর আলী ও আবুল ফজল আলিমসহ তাদের কতিপয় সহযোগি দীর্ঘদিন থেকে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এতে রাজি না হওয়ায় ঘটনার সময় তারা জোর পূর্বক ঘরে প্রবেশ করে তাদে ধর্ষণসহ তার কাছ থেকে ১লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ছাতক থানার অফিসার্স ইনচার্জ আতিকুর রহমান জানান, ঘটনাটি ধর্ষণ কিনা তা- এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওসমানী মেডিকেলের ওসিসিতে ভর্তি হলে অবশ্যই এধরনের ঘটনায় মামলা রেকর্ড এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে কঠোর আইনানূগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।