ছাতকে বিয়ানীবাজারের তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে অভিযুক্তের পরিবার্। তাদের পাঠানো বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় মোবাইল ফোনের মিসকল আর ফেইসবুক থেকে অনেক ছেলে মেয়ের পরিচয় হয় এটা বর্তমান সময়ে স্বভাবিক বিষয়। ফোনে পরিচিত হলেই যে মেয়েটি যে মেয়েটি চলে আসবে ছেলের বাড়িতে এবং জোর করে ছেলেকে বিয়ে করতে চাপ সৃষ্টি করা ছেলেকে ফাসিয়ে অর্থের লোভে প্রেমের নামে যে ফাদ সৃষ্টি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ প্রতারণা ও অর্থ আত্বসাদের মনোভাব। একটি মেয়ে ১০/১২ দিন ধরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ অতচ মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি জিডিও করা হয়নি বরঞ্চ ছেলের পরিবার থেকে খবর পাঠালেও আসছি আসতেছি করে ১০/১২ দিন দেরি করে আসাই প্রমাণ করে এটি একটি সাজানো নাটক। এই প্রতারক অর্থলোভী প্রেমিকা হচ্ছে সাজনা বেগম (২৩) পিতা অসিউর রহমান‚ মাতা কলসুমা বেগম ‚ গ্রাম আব্দুল্লাহ পুর‚ ইউপি কোড়ার বাজার‚ থানা বিয়ানীবাজার ‚ জেলা সিলেট। ছেলে ছাতক উপজেলার ধারণ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আলিম‚ পিতা সৌদি প্রবাসী আব্দুল কাহার‚ সে ধারন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও গোবিন্দগঞ্জ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে স্টুডেন্ট ভিসায় মালেশিয়া চলে যায়‚ ছুটিতে আসে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে এসে এই প্রতারক মেয়ের প্রেমের ফাদে পড়ে। বিনা ডকুমেন্টে কিসের ভিত্তিতে একটি মেয়ে একটি ছেলের বাড়িতে জোর করে বিয়ে বসতে চায়? মেয়েটি জোর করে আলিমের বাসায় আসায় আলিমের পরিবার মান সম্মানের বিষয় বিবেচনা করে বিষয়টি প্রথমে গোপণ রাখে। পরিবর্তে আলিমের পরিবার বিয়ানীবাজারে মেয়ের পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা আসছি আসতেছি বলে ১০/১২ দিন পর মেয়ের চাচা ওলিউর রহমান তাদের ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহেরকে নিয়ে আলিমের বাড়িতে আসেন। পরবর্তীতে গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান ও পার্শ্ববর্তী উত্তর খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি শালিশ বোর্ডের মাধ্যমে মেয়ের চাচা মেয়েটিকে নিয়ে বিয়ানীবাজার চলে যান। মেয়েটি তাহার মায়ের স্বর্ণ বিক্রি করে বিয়ানীবাজার থেকে ছাতক এসেছে বলে ৭০/৮০ হাজার টাকা শালিশ বোর্ডে দাবি করলে আলিমের পরিবারের পক্ষ থেকে এই টাকা পরিশোধ করা হয়। শালিশ বোর্ড আব্দুল আলিম কে প্রশ্ন করলে আলিম জবানবন্দি করে যে মেয়ে আমার সাথে ফোনে পরিচিত হয়ে জোর করে বিয়ে করার জন্য আমার বাড়িতে চলে এসেছে আমি তাকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারবো না। এবং তাকে বিয়ে করার কোনো অঙ্গীকার বা কোনো বিষয় আমাদের মধ্যে ঘটেনি। বিয়ানীবাজার থেকে জানা যায় মেয়েটি এইরকম আরো একটি ছেলের সাথে জোর করে বিয়ে করার জন্য ছেলের বাড়িতে ৮ মাস অবস্থান করেছিলো। পরে বড় অংকের টাকা নিয়ে প্রতারক সাজনা তার বাড়িতে চলে যায়। এভাবেই সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে ছেলেদের ফাসিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর একটি কু-চক্রী দলের প্ররোচনায় আবারো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ধান্ধায় মেয়েটি নতুন ফন্দি করতেছে। এব্যাপারে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় যে খবর বেরিয়েছে তা ভিত্তিহীন। বিজ্ঞপ্তি

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn