ছাতকে পারিশ্রমিক বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবীতে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কর্মবিরতী পালন করা অস্থায়ী শ্রমিক ও কারখানার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল রোববার সকালে কারখানার প্রধান ফটকে  দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ন্ত্রনে রাখতে কারখানা কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশে খবর দেয়। তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উভয় পক্ষকে প্রধান ফটক থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। বর্তমানে শ্রমিকদের মধ্যে বিরাজ করছে টান-টান উত্তেজনা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে কারখানার মেকানিক্যাল ও ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের বিভিন্ন সেকশনে ঠিকাদারের মাধ্যমে ডে-লেভার হিসেবে কাজ করে আসছে কয়েক শ’ শ্রমিক। শ্রমিকদের মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এইচ আর এন্টাপ্রাইজের অধীনে মেকানিক্যাল বিভাগে ৪৫ জন ও শাহজাহান এন্টারপ্রাইজের অধীনে ৬৫ জন কাজ করে আসছে। গত ১ মে থেকে এসব শ্রমিক তাদের দৈনিক পারিশ্রমিক বৃদ্ধিসহ দৈনিক ডিউটি, সরকারী ছুটি, বাৎসরিক ছুটি, ওভার টাইম দ্বিগুন, ইন্সুরেন্স ও এলাউন্সের দাবীতে কর্মবিরতী পালন করছে তারা। বিষয়টি নিরসনের লক্ষে কারখানা কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘন্টার মধ্যে কাজে যোগদানের সময়সীমা বেঁধে দিলে শ্রমিকরা তাদের দাবীর প্রতি অটল থেকে কর্মবিরতী অব্যাহত রাখে। বিষয়টি লিখিতভাবে   উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। এদিকে কারখানা ও শ্রমিকদের মধ্যে টানা-পুরনের বিষয়টি সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাড়তি সুযোগ নিতে পূর্বের নির্ধারিত পারিশ্রমিকেই শ্রমিক সাপ্লাই দেয়ার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি করলে বিষয়টি আরো জটিল হয়ে উঠে। এ ঘটনায় শ্রমিকদের পাশাপাশি লাফার্জের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট লোকজন পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের মধ্যে সাদ মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, সাবুল মিয়া, এনামুল হক জানান, মেকানিক্যাল বিভাগে কর্মরত শ্রমিকদের দৈনিক পারিশ্রমিক সর্বোচ্চ ৪২০ টাকা থেকে সর্ব নিম্ম ২৩২ টাকা ঠিকাদারের মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এসব পারিশ্রমিকে তাদের সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। পারিশ্রমিক বৃদ্ধিসহ সরকারী ছুটি ও শ্রমিকদের আনুসাঙ্গিক সুবিধা পাওয়ার দাবীতে তারা কর্মবিরতী পালন করছে। দাবী পূরনের আশ্বাস দিলেই তারা কাজে যোগদান করবে। কিন্তু লাফার্জ সংশ্লিষ্ট একটি সিন্ডিকেট তাদের উপেক্ষা করে বহিরাগত অদক্ষ শ্রমিক সাপ্লাই দিয়ে বাড়তি সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে। কর্মবিরতী পালন করা শ্রমিকরা বহিরাগতদের প্রতিহত করতেই কারখানার প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। এ ব্যাপারে লাফার্জের কমিউনিকেশন-রিলেশন কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এইচআর এন্টারপ্রাইজ ও শাহজাহান এন্টারপ্রাইজের। এর দায়ভার লাফার্জ নেবে না।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn