ছাতকে সংঘর্ষ, শামিম চৌধুরীসহ ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ছাতক:: ছাতকে সুরমা নদীতে বালু-পাথর সরবরাহকারী নৌকা থেকে চাঁদা আদায় নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও পুলিশ সদস্যদের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় শামিম আহমদ চৌধুরীসহ ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ছাতক থানার এসআই পলাশ সরকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজহার সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সুরমা নদীতে চলাচলকারী বালু ও পাথরবাহী নৌকা থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী ও তার আপন ছোট ভাই শামিম আহমদ চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় শাহাব উদ্দিন (৪৫) পিতা আব্দুস সোবাহান নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। খবর পেয়ে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তিনিসহ এসআই আব্দুল মান্নান, এমরান হোসেন, শাকির হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া কনস্টেবল তোফাজ্জল হোসেন, কামরুল ইসলাম, থানা পুলিশের ড্রাইভার সজিব আহমদ, ডিবি কনস্টেবল কুল্লুল আল ফাহিম আহত হন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৬৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ফাকাঁ গুলি নিক্ষেপ করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে তাতক্ষনিক অভিযান চালিয়ে জামাল আহমদ চৌধুরী, কামাল আহমদ চৌধুরী, ইলিয়াস চৌধুরী, সাদমান মাহমুদ সানী, সাবিরুল ইসলাম সাজু, গিয়াস উদ্দিন, গৌছ মিয়া, জিবরান আহমদ, শামিম আহমদ, হৃদয় আহমদ, জুয়েল মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, সালমান, শাওন, সুমন মিয়া, অমিত, রনিসহ ২৮জনকে আটক করে পুলিশ।
এঘটনায় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের তথ্য অনুযায়ী শামিম আহমদ চৌধুরী, সেলিম আহমদ চৌধুরী, শাহিন আহমদ, চৌধুরী, নুরুজ্জামান চৌধুরী সম্রাট, মাহির আহমদ চৌধুরী, বাবুল চৌধুরী, সুহেল চৌধুরী, শাহাব উদ্দিন সাহেল, রিয়াদ আহমদ চৌধুরী, জয়নাল চৌধুরী, তাপস চৌধুরী, শাহিন চৌধুরী, আজমল হোসেন সজল, চপল হোসেন, কোহিন চৌধুরী, তানভীর চৌধুরী, জসিম উদ্দিন সুমেন, লিয়াকত আলী, আখলাকুল আম্বিয়া সোহাগ, ধন মিয়া, নওশাদ মিয়া, খোকন, কাননসহ ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন মামলার সত্যতা স্বীকার করে আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে এবং বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান।