ছাতক রেলওয়ে স্লিপার প্লান্ট: ১৯ মাস পর চালুর ১০ দিনের মধ্যে ফের বন্ধ
ছাতক::ছাতকে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন কংক্রিট স্লিপার প্লান্টটি ১৯ মাস ধরে বন্ধ ছিলো। প্রায় ১৯ মাস বন্ধ থাকার পর চালু হলেও ১০ দিনের মাথায় সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন আবারও বন্ধ হয়ে পড়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে গত ৫ অক্টোবর থেকে কারখানায় স্লিপার উৎপাদন শুরু করা হয়। কিন্তু উৎপাদন শুরুর ১০দিন পর কাচাঁমাল সংকটে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, দেশে বেসরকারি মালিকানাধীন স্থাপিত দু’টি স্লিপার কারখানার চালু রাখার সুবিধার্থে এই কারখানাটি নানা অজুহাতে বারবার বন্ধ রাখা হচ্ছে। শিল্পনগরী ছাতকে ১৯৮৮ সালে রেলওয়ের অধীনে স্থাপিত হয় সরকারী মালিকানাধীন দেশের একমাত্র কংক্রিট স্লিপার কারখানা। ওই বছরের ২৭ অক্টোবর কংক্রিট স্লিপার প্লান্টটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এরপর পর থেকে কারখানায় স্লিপার উৎপাদন শুরু হয়। দৈনিক ২৬৪টি স্লিপার উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ‘ছাতক কংক্রিট স্লিপার কারখানা’ শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চালু করা হয়। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি উন্নত মানের স্লিপার উৎপাদন করে থাকলেও নানা কারনে বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে। কারখানায় জনবল সংকটের পাশাপাশি যান্ত্রিক ত্রুটিও রয়েছে। কারখানায় বর্তমানে ৬ জন ইলেক্ট্রিশিয়ানসহ রেলওয়ের ২১ জন শ্রমিক ও ঠিকাদারের অধীনে ৫৬ জন শ্রমিক কাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার একাধিক শ্রমিক জানান, দুর্নীতি-অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার কারণেই স্লিপার কারখানা প্রতিষ্ঠার পর বিগত ৩২ বছরে অসংখ্য বার উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। যার ফলে স্লিপার কারখানাটি আর্থিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। দেশের একমাত্র স্লিপার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্টানকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের কঠোর নজরদারী প্রয়োজন। ছাতক বাজার রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী হাবিব উল্লাহ জানান, কারখানাটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আমরা আবারও চালু করে সার্বিক সক্ষমতা যাচাই করেছি। এটিকে কিভাবে নিয়মিত চালু রাখা যায়, এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধতণ কর্তৃপক্ষের বরাবারে বিস্তরিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।