ছাত্রলীগের সমালোচনা করে ‘সুশীল’ হওয়া যায় না
বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের নাম শুনলে অনেকেরই গাত্রদাহ হয় । বিএনপি জামাতসহ প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর হবে, এটাই স্বাভাবিক । কারণ ছাত্রলীগ সবসময় প্রগতিশীলতার রাজনীতি করেছে । আবার বাম ঘেঁষা প্রগতিশীলদের মধ্যেও একটি গোষ্ঠী আছে, ছাত্রলীগের নাম শুনলেই যাদের গা জ্বালা করে । কারণ ওনারা যখন তত্ত্ব নিয়ে ব্যস্ত , ছাত্রলীগ তখন ছাত্রদের দাবী তথা গণমানুষের অধিকার নিয়ে মাঠে ঘাটে কাজ করেছে । আবার ছাত্রলীগের সমালোচনা করলে জাতে উঠা যায় – এই রকম শ্রেণীর লোকজন শুধু দলের বাইরে নয় , দলের মধ্যেই রয়েছে । ছাত্রলীগকে গালিগালাজ করে সুশীলের খাতায় নাম লেখাতে চায় ।
যদি হিসাব করে দেখেন , দেখবেন দেশের সব গণত্রান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকায় থেকে সবচেয়ে বেশি জীবন দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা । আরো দুঃখজনক হলো, আওয়ামীলীগ যখন সরকারি দলে তখনও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ব্রাশ ফায়ার করে মারা হয় । আর বিরোধী দলে থাকলেতো কথা’ই নেই । হত্যা, নির্যাতনের শিকার সবচেয়ে বেশি তৃণমূল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ।
ছাত্রলীগ কতটা অসহায় এবং সহনশীল তা গত দুইদিনের পত্রিকার সংবাদের হেডলাইন উল্লেখ করলেই বুঝবেন । আগেরদিন পত্রিকা লিখেছে , ছাত্রলীগের দুই নেতার হাত পা কেটে নিয়েছে “দুর্বৃত্তরা” । পরেরদিনের সংবাদ ” শিবির সন্দেহে পিটুনি দিয়েছে ছাত্রলীগ । খেয়াল করলে দেখবেন , সংবাদমাধ্যমগুলো “শিবিরকে দুর্বৃত্ত” বলে বাঁচিয়ে দিয়েছে । অথচ পিটুনির ক্ষেত্রেও ছাত্রলীগের নাম উল্লেখ করতে ছাড় দেয়নি ।
এতগুলো কথা বলার কারণ , শিবিরের নৃশংসতায় হাত হারিয়ে, ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে কাতরাচ্ছে সিলেটের ছাত্রলীগের দুই কর্মী । তাদের অপরাধ তারা বিএনপি জামাত অধ্যুষিত একটি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতি চালু করতে চেয়েছিলো । তারা এখন এতটাই অসহায় যে উল্লেখ করার মত কোনো বড় নেতা মন্ত্রী এমপিরাও তাদের দেখতে যাননি ।
কেন্দ্রীয় সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক গিয়েছেন । আর সর্বশেষ ভরসার আশ্রয়স্থল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের দিয়ে সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন । ক্ষমতার অংশীদার হই আমরা সবাই , দায় নিতে হয় শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যার ।
লেখক: প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব