ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আরিফ দায়িত্ব নেবার সাথেই গ্রুপিং সংকটে
রোববার দুপুরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এসআর সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ সভাপতি আরিফ উল আলমকে। কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে নাজমুল হক কিরণ, দীপঙ্কর কান্তি দে, এনায়েত রেজা জিসান, সোহেল রানা, মাসকাওয়াত জামান ইন্তি ও আশিকুর রহমান রিপনকে। কমিটির সদস্যরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আহমেদ, অভিজিৎ চৌধুরী, আশরাফুল ইসলাম ও ইশতিয়াক আলম পিয়াল। আগামী তিন মাসের জন্য এই কমিটি অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। গত ১১ মার্চ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এরপর নেতৃত্ব পেতে আগ্রহী ৭৬ জনের মতো ছাত্রলীগ নেতার জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। রোববার ১১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলরা’।
জেলা ছাত্র লীগের আহ্বায়ক আরিফ উল আলম বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ নেই। রোববারের মিছিল ছিল আমার সমর্থকদের তাৎক্ষণিক আনন্দ-উল্লাস। সোমবারের মিছিল সকলে মিলে একসঙ্গে করা হয়েছে। আমিও মিছিলে ছিলাম। আমরা নতুন কমিটির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।’ নতুন কমিটির প্রথম যুগ্মআহ্বায়ক নাজমুল হক কিরণ বলেন,‘মিছিলের আয়োজন করেছি নতুন কমিটির দীপঙ্কর, জিসান, ফয়সাল, আশিকুর, অভিজিৎসহ সকলের যৌথ উদ্যোগে। পিয়াল ও সোহেল ঢাকা। তাঁরা ঢাকা থেকেই মিছিলে আসার জন্য নেতা-কর্মীদের বলেছে।’ আরেক যুগ্মআহ্বায়ক মাসকাওয়াত জামান ইন্তি বললেন,‘আমরা সবাই এক, আমি মিছিলে গিয়েছিলাম, অসুস্থতার জন্য ফিরে এসেছি।’ কমিটির সদস্য আশরাফুল এ প্রসঙ্গে বললেন,‘আমি ৬ তারিখ মিছিলের আয়োজন করেছি। সকলকে ঐ দিন বলবো থাকার জন্য।’
প্রসঙ্গত. ২০১০ সালের অক্টোবরে সভাপতি ও সম্পাদকসহ ১০ জনের পদবি উল্লেখ করে ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয়েছিল। কমিটি ঘোষণার পর ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা মিছিল-সমাবেশ বিক্ষোভ করলেও শেষ পর্যন্ত ঐ কমিটির নেতৃত্বেই ছাত্রলীগের কার্যক্রম চলতে থাকে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতানৈক্য ছিল দীর্ঘদিন। অবশ্য, ২০১৩ সালের ১৪ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণ ও সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী ঐক্যবদ্ধভাবে জেলা ছাত্রলীগের ১৭১ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি নিয়েও বিভ্রান্তি ছিল। ঐ সময়ের ১৭১ সদস্যের জেলা কমিটি কখনই কোন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়নি। কারা কারা কমিটিতে ছিলেন, এটিও অস্পষ্ট ছিল।