প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন নিতে গিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে হামলার শিকার গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদী মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে বলে মামলা করা হয় ইমরান ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী সনাতন উল্লাসের বিরুদ্ধে। ১৬ জুলাই রোববার ওই মামলায় জামিন নিতে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে যান ইমরান। কিন্তু আদালত ভবনের সামনে ইমরানের এইচ সরকারের জামিনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল থেকে ইমরানকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ছোড়া কয়েকটি ডিম ইমরানের শরীরে ও গাড়িতে এসে পড়ে। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ইমরান এইচ সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরপর তিনটি স্ট্যাটাস দেন।
হামলার প্রসঙ্গে দেওয়া প্রথম স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আদালত চত্বরে আমাদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলা। আদালতেও যদি হামলা হয় তাহলে আদালতের প্রতি মানুষ কীভাবে শ্রদ্ধা জানাবে?’ এর কিছুক্ষণ পরে দেওয়া আরেক স্ট্যাটাসে ইমরান লিখেন, ‘আদালতেও যখন পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা, অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে, তখন এই দেশটাকে আর কোনোভাবেই সভ্য দেশ বলা যায় না। এই দেশটা এখন মাস্তান, সন্ত্রাসী আর ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য।’
সর্বশেষ স্ট্যাটাসে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র লিখেন, ‘এই চোর ডাকাতরা ক্ষমতায় থাকবে, লুটপাট করবে, ধর্ষণ করবে, খুন করবে কিন্তু কিছুই বলা যাবে না। প্রতিবাদ করলে মামলা করবে, আদালতে গেলে সন্ত্রাসী হামলা করবে। খুন-ধর্ষণ-হত্যা, হামলা-মামলা সবখানেই এখন স্লোগান ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’। ছি! আমরা কি এই দেশ চেয়েছিলাম?’
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
২৬৫ বার