জগন্নাথপুরে অসামাজিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ:তোপের মুখে পুলিশ
এ ব্যাপারে গত ১১ জুন স্থানীয় কেশবপুর গ্রামের মৃত রশিদ উল্লার ছেলে আছকির মিয়া, আছর মিয়া, পুলিস মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া, আলমগীর মিয়া, আছর মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া, আফজল মিয়া, মৃত ছামির উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিন মিঠু, জবর আলীর ছেলে শিশু মিয়া, তোতা মিয়া, জালু মিয়ার ছেলে আনহার মিয়া, জনিক মিয়ার ছেলে টুনু মিয়া, ও মৃত ইছাক উল্লার ছেলে নছর মিয়াসহ এলাকার চিহিৃত অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর তাজিবুর রহমানসহ গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জগন্নাথপুর থানার ওসি বরাবরে দায়ের করা হয়। যার অনুলিপি প্রেরণ করা হয়, পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল, জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দকে।
এদিকে-গ্রামবাসী কর্তৃক ধারাবাহিক আন্দোলন ও প্রতিবাদের মুখে এখনো অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
বুধবার বিকেলে জগন্নাথপুর থানার এসআই সাইফুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধী চক্রের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বলায় ক্ষেপে উঠেন প্রতিবাদী জনতা। এ সময় শতশত প্রতিবাদী জনতার তোপের মুখে পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা রেখে ফিরে আসে। তবে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর তাজিবুর রহমান বলেন, এলাকার চিহিৃত অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ফুসে উঠেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হলে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের পক্ষে আছকির মিয়া বলেন, প্রকৃত পক্ষে কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে গ্রামের একটি পক্ষের সাথে আমাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। যে কারণে তারা বিভিন্ন দপ্তরে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি ঈদের পর নিস্পত্তি হওয়ার কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, এখানে দুইটি পক্ষ রয়েছে। তবে তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।