সানোয়ার হাসান সুনু :: জগন্নাথপুর উপজেলার হিজলা গ্রামে একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য সরকারিভাবে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু রাস্তা নির্মাণ না করে বরাদ্দকৃত টাকাগুলো চলে গেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেটে। ফলে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী নিজ অর্থায়নে দেড় লক্ষ টাকা ব্যয় করে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তাটি নির্মাণ করেছেন। জগন্নাথপুর পাগলা মেইন রোডের সাথে সংযুক্ত হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তাটি মাসখানেক সময়ে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকবাসী জানান, প্রায় ৫ মাস পূর্বে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে ওই রাস্তাটি নির্মাণে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উক্ত প্রকল্প কমিটিতে হিজলা গ্রামের কাউকে না রেখে কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দিয়ে প্রকল্প কমিটি করা হয়। হিজলা গ্রামবাসী জানান, রাস্তার কিছু অংশে নামমাত্র প্রায় ২৫ হাজার টাকার মাটি ফেলে অধিকাংশ টাকাই আওয়ামী লীগ নামধারী নেতারা আত্মসাত করে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শহীদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

জানা যায়, মেইন সড়ক (জগন্নাথপুর-পাগলা রোড) থেকে হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট কাজের জন্য কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উক্ত প্রকল্পের কাজের বরাদ্দ মেইন সড়ক (জগন্নাথপুর-পাগলা রোড) থেকে হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত মাটি ভরাটের কাজ করার কথা থাকলেও সামান্য অংশে দায়সারাভাবে নামমাত্র মাটি ফেলা হয়েছে। যার ফলে গ্রামবাসীসহ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। উক্ত রাস্তা দিয়ে হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ চলাচলের সমস্যা চিন্তা করে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে প্রায় দেড় লাখ টাকা ব্যয় করে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করেছেন। হিজলা গ্রামের আব্দুর রউফ বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা থেকে সামান্য মাটি ফেলে অধিকাংশ টাকাই লুটপাট করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও গ্রামবাসীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে আমরা নিজের পকেটের টাকা দিয়ে এই রাস্তাটির নির্মাণকাজ করেছি।’ একই গ্রামের আতা উল্লা বলেন, ‘সরকারি টাকা বরাদ্দহ লেও অধিকাংশ টাকাই লুটপাট করেছে আওয়ামী লীগ নামধারী নেতারা। তাই সরকারি বরাদ্দকৃত টাকার সদব্যবহার হচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা গ্রামবাসী নিজ অর্থায়নে উক্ত রাস্তা নির্মাণ করেছি।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn