জগন্নাথপুরে জ্বীনের বাদশার ফাঁন্দে পড়ে নি:স্ব ব্যবসায়ী
বার্তা ডেস্ক:: জগন্নাথপুরে জ্বীনের বাদশার ফাঁন্দে পড়ে সর্ব হারিয়েছেন জগন্নাথপুরের এক ব্যবসায়ী। জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের মক্রমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও জগন্নাথপুর বাজারের সফল ব্যবসায়ী মাও: ইমরান আহমদের কাছ থেকে জ্বীনের বাদশা সেজে প্রতারণার মাধ্যমে সাড়ে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো টাকা উদ্ধার হয়নি। টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে এই ব্যবসায়ী গত বুধবার সিলেট রেঞ্জের উপ মহা-পরির্দশকের (ডিআইজি) বরাবর আবেদন করেছেন। জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ও ব্যবসায়ীর আবেদরন সূত্রে পাওয়া যায়, জগন্নাথপুর উপজেলা পাটলি ইউনিয়নের মক্রমপুর গ্রামের বাসিন্দা মাও: ইমরান আহমদ গত ২৩ এপ্রিল জগন্নাথপুর থানায় প্রতারনার মাধ্যমে সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেন। এতে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী থানার দাউদপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে কামরুল ইসলাম ও মোছাঃ রানু বেগমকে আসামী করা হয়। পুলিশের কাছে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জনান, সৈয়দপুর গ্রামের হাফিজ এনামুল হাসানের পরিকল্পনা ও সহযোগিতা তারা মিথ্যা জ্বীনের বাদশা সাজিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
পুলিশ হাফিজ এনামুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদর্শক এস আই হাবিবুর রহমান রিমান্ড শেষে টাকা আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া যায় বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এছাড়া আসামী কামরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোছাঃ রানু বেগম গত ২৬ এপ্রিল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। মাও: ইমরান আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসামী হাফিজ এনামুল হাসান এই টাকার একটি অংশ (৫০ লাখ) টাকা ব্যয়ে একটি বাড়ি তৈরী করেন। অপর আসামী কামরুল হক ও তার স্ত্রী (২০ লাখ) টাকা দিয়ে একটি জায়গা কিনেছে। বাকী টাকাগুলো তাদের কাছেই আছে। তিনি আরোও বলেন, এই মামলার দুই আসামী এনামুল হাসান ও আব্দুল কাদির জামিনে মুক্তি পেয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানা ভাবে চেষ্টা করছে। এত কিছুর পরও পুলিশ টাকা উদ্ধার করতে না পারায় তিনি নিরুপায় হয়ে ডিআইজির শরনাপন্ন হয়েছেন বলে জানান।