জগন্নাথপুরে মাদ্রাসার জমি কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সহ কমপক্ষে ৭০ জন লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ৪০ জনকে সিলেট ওসমানী কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধরপাশা গ্রামে এ সংঘর্ষের  ঘটনা ঘটে।স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শ্রীধরপাশা গ্রামের উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মালিক ও বিএনপি নেতা জাবেদ আলম কোরেশীর লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।  এরই জের ধরে শনিবার বিকেলে স্থানীয় শ্রীধরপাশা দারুল উলুম মাদ্রাসার জমি নিলাম দেয়া নিয়ে জাবেদ আলম কোরেশী ও আবদুল মালিক পক্ষের ফয়সল মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে মহিলা সহ ৭০ জন  লোক আহত হন।
এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ  গুরুতর আহত ৪০ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকৃত আহতরা হলেন, গউছ আলী, নুর আলী, পাবেল মিয়া, রাসেল মিয়া, শিরু মিয়া, সিদ্দিক আলী, ফেরদৌস মিয়া, সুয়েব আহমদ, আছাদ মিয়া, কিরণ মিয়া, রাহাত মিয়া, রাজিব আহমদ, আবুল লেইছ, তোয়াহিদ মিয়া, হেলাল মিয়া, আলী হোসেন, আনাই মিয়া, ফজরুন্নেছা, মতিউর রহমান, আজিজুর রহমান, সজিব মিয়া, লিমন মিয়া, তখলিছ মিয়া, রাহুল মিয়া, হাসান মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, রুহেল মিয়া, জুয়েল মিয়া, খসরু আবেদীন, সুহিনুর মিয়া, হোসেন মিয়া, জুনেদ মিয়া, ছইদন আলী, ফুল মিয়া, সাহেল মিয়া, দিলোয়ার হোসেন, আবদুল বারী, সবজুল মিয়া, রতসল মিয়া, জয়নাল আবেদীন, রিপন মিয়া, আলী আহমদ, মওদুদ আহমদ, আবদুল তাহিদ, জিলানী, সাইদ আহমদ, আবদুল গণি, রব্বানী মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, আশ্বাদ মিয়া, নেওয়াজ মিয়া, আক্তার হোসেন, ফারুক মিয়া, কদ্দুছ মিয়া, জিয়া উদ্দিন, ইদ্রিছ আলী, আবদুল ওয়াদুদ, ফখরুল ইসলাম, নুর আহমদ, হাসান নুর, ইমাম উদ্দিন, ফাহিম মিয়া ও লিটন দাস। অন্যান্য আহতদের জগন্নাথ পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা স্থল পরির্দশন করেছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn