জগন্নাথপুরে অস্বাভাবিকভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। ঘন্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। সামান্য ঝড়বৃষ্টি এলেই বিদুৎ চলে যায়। আর বিদ্যুতের দেখা মিলে না। বিদ্যুতের ভেলকিবাজির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কর্মকর্তাদেরও ভেলকিবাজি চলছে । বিদ্যুৎতের অসহনীয় ভেলকিবাজির প্রতিবাদে গতকাল রোববার স্থানীয় পৌর পয়েন্টে দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে ইউনিটির সভাপতি নুরুল করিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক জাকারিয়া আহমদের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান, জগন্নাথপুর বাজার বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক তাজ উদ্দিন আহমদ, জগন্নাথপুর বাজার তদারক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহির উদ্দিন, ব্যবসায়ী এমরান আহমদ, জহিরুল ইসলাম লাল মিয়া,আব্দুল ওয়াহিদ, গোলাম সারোয়ার প্রমুখ।

এলাকাবাসী জানান- গত এক সপ্তাহ ধরে মারাত্মক আকারে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সঙ্গে জগন্নাথপুরের বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বরত সকল কর্তকর্তা কর্মচারীদের মুঠোফোন বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ আসলে আবার তাদের ফোন চালু করা হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ অফিসের ইমার্জেন্সি ল্যান্ডফোনের রিসিভার  উঠানো থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ প্রবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আদায় হওয়ায় সরকার বিদ্যুৎ বিভাগকে গুরুত্ব দিয়ে এ উপজেলায় নির্বাহী প্রকৌশলীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন কর্মকর্তাকে পদায়ন করলেও কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না গ্রাহকরা।  পাটলী ইউনয়িনরে চেয়ারম্যান সিরাজুল হক বলেন- বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের ব্যবহারে আমরা সন্তুষ্ট নই। তিনি অভিযোগ করে বলেন- সামান্য প্রয়োজনে অসংখ্য বার বিদ্যৎ অফিসে ফোন দিয়েও কোন সুরাহা পাইনি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। জগন্নাথপুরের বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল চন্দ্র সরকার জানান- ঝড়তুফানের কারণে ৩৩ হাজার বিদ্যুতের মূল লাইনে মারাত্মকভাবে ত্রুটি সৃষ্টি হয়। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বিঘœ ঘটে। আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ চালু রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn