জগন্নাথপুরে বেতন-ভাতা’র দাবিতে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদে’র কর্মবিরতি
মো.শাহজাহান মিয়া-
জগন্নাথপুরে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন পাওয়ার দাবিতে কর্ম বিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার স্থানীয় পৌর পয়েন্টে কেন্দ্রীয় পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের আহবানে সারা দেশের ন্যায় জগন্নাথপুর পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে দিন ব্যাপী পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্ম বিরতি পালন করা হয়। জগন্নাথপুর পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি পৌর সচিব মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পৌর প্রকৌশলী সতীশ গোস্বামীর পরিচালনায় কর্ম বিরতি পালন উপলক্ষে আলোজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট বিভাগীয় পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী কালি কৃষ্ণ পাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
এ সময় পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে একাত্মতা পোষন করে উপস্থিত ছিলেন, জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শফিকুল হক, পৌর কাউন্সিলর খলিলুর রহমান, তাজিবুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন মুন্না, দিপক গোপ, মিনা রাণী পাল, জগন্নাথপুর বাজার সেক্রেটারি জাহির উদ্দিন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক পীর ছালিক আহমদ, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মিয়া প্রমূখ।
এছাড়া জগন্নাথপুর পৌরসভার কর আদায়কারী রশীদ আলী, সহকারী কর আদায়কারী আবদুস সালাম, সহকারী কর নির্ধারক এলাইছ মিয়া, বাজার কর আদায়কারী বিমল বণিক, টিকাদানকারী মাহমুদা বেগম, ষ্টোর কিপার রনজিত শীল, সহকারী কর আদায়কারী অসিত পাল, লাইসেন্স পরিদর্শক বিপ্লু রঞ্জন সরকার, নি¤œ সহকারী কাম-মুদ্রকরিক রুবী রাণী দেব, সহকারী পুলক রায়, বিদ্যুৎ মিস্ত্রি রফিকুল ইসলাম, টিকাদানকারী বিপ্রেশ মৈত্র ও অফিস সহায়ক আইনুল হক ও নিশি দাস সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের এ আন্দোলন সরকার বিরোধী নয়। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন। আমরা আন্দোলন করতে চাই না। আমাদের দাবি মেনে নেয়া হলে আমরা ঘরে ফিরে যাবো। তারা আরো বলেন, এক দেশে দুই নীতি হতে পারে না। আমাদের চাকুরী সরকারি হলেও আমরা সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছি। এতে দেশের ৩২৭টি পৌরসভার ৩২ হাজার ৫৫০ জন পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন-যাপন করছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আকুল-আবেদন জানিয়ে বলেন আপনি আমাদের মা, দয়া করে আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিন। তাহলে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাবো।