জগন্নাথপুর আ’লীগের কোন্দল মেটাতে নেতাদের কেন্দ্রে তলব
সুনামগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তৃণমূলের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্বে সহিংসতার নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে প্রায়ই। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের এ দ্বন্দ্বের কারণ অনুসন্ধান করতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদের। দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই জগন্নাথপুরের আওয়ামী লীগ তৃণমূলের নেতাদের কেন্দ্রে ডাকা হচ্ছে। কোন্দলপূর্ণ জেলার নেতাদের ঢাকায় ডেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কথা বলবেন। দলীয় কোন্দলের কারণে বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতাই শুধু নয়, জনপ্রিয়তার লড়াইয়ে হার হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের। সম্প্রতি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনিরুল হক সাক্কুর কাছে আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমার ১১ হাজার ভোটে হারের পর জেলা পর্যায়ের কোন্দলের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ। জগন্নাথপুর এবং সিলেটের ওসমানীনগর দুটি উপজেলাতেই ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ভুগিয়েছে নৌকার প্রার্থীকে। দলের দুই নেতার সম্মিলিত ভোট দুটি এলাকাতেই বিজয়ী বিএনপি প্রার্থীর দেড়গুণ বা তার চেয়ে বেশি ছিল।
কুমিল্লায় হারের পর কোন্দলের বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে পারছে না ক্ষমতাসীন দল। আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় দলে শৃঙ্খলা না থাকলে বিরোধী পক্ষ সুযোগ নেবে-এই আশঙ্কা থেকেই মাঠে নামে ক্ষমতাসীন দল। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ওবায়দুল কাদের। ওই সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কয়েকটি জেলার উপর সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন ওবায়দুল কাদেরের সামনে। এর প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের পাঁচ জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট জেলার থানার নেতাদের ঢাকায় ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।