জগন্নাথপুর-কেশবপুর-পাটলী-রসুলগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা
সানোয়ার হাসান সুনু-
জগন্নাথপুর-কেশবপুর-পাটলী-রসুলগঞ্জ ১৩ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় জন দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। দীর্ঘ অর্ধযুগ ধরে সড়কটিতে কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়কটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে অসহনীয় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন জনসাধারন।সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, ওই সড়কের অধিকাংশ স্থানই ভাঙা-চুড়া, খানাখন্দ ও ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কে কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় এবং অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারনে সড়কে চলাচল কষ্ঠকর হয়ে উঠেছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত,শত ছোটবড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। এই সড়ক দিয়ে সিলেট বিভাগীয় শহর, সুনামগঞ্জ জেলাশহর ও উপজেলা সদরে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষজন যাতায়াত করেন।এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী উপজেলার পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে সড়কে কোন প্রকার সংস্কার কাজ হয়নি। সাম্প্রতি বন্যার পাশাপাশি বৃষ্টিতে ব্যাপক ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে সড়কে। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি আমরা। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানাচ্ছি।” আরেক যাত্রী ওই ইউনিয়নের পাটলী গ্রামের বাসিন্দা দরবেশ আলী জানান, ‘সংস্কারহীন সড়কে যানবাহনের ঝাঁকুনিতে জান যায় যায় অবস্থা। একবার এ সড়ক দিয়ে চরাচল করলেও সুস্থ ব্যক্তিরা অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।’উপজেলার পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক জানান, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়কে চলাচলে অসহনীয় কষ্টের শিকার হচ্ছেন ইউনিয়নবাসী। দ্রুত সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।’ স্থানীয় এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা যায়, ‘জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর-পাটলী-রসুলগঞ্জ সড়কের ১৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে অধিকাংশ রাস্তা বন্যা ও অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারনে ভেঙ্গে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।’ জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ‘ঐ সড়কের সংস্কার কাজের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিছু দিনের মধ্যে বরাদ্দ পাব বলে আশা করছি।’