জগন্নাথপুর: চাল বিতরণে অনিয়ম মেম্বার লাঞ্ছিত
জগন্নাথপুরে দুর্গত মানুষের মধ্যে সরকারি ভিজিএফ এর চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বঞ্চিত জনতার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ জনতা এক ইউপি সদস্যকে লাঞ্ছিত করার খবর পাওয়া গেছে। জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে জনপ্রতি ৩৮ কেজি করে সরকারি ভিজিএফ এর চাল ও নগদ ৫শ টাকা করে বিতরণ শুরু হয়েছে।
শনিবার জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে সরকারি চাল ও টাকা বিতরণ করা হয়। তবে ওজনে কম দেয়া, স্বজনপ্রীতি করা, নির্বাচনী বিরোধের রোষানল ও রাজনৈতিক কারণে নাম তালিকা ভূক্ত না করা, একই ব্যক্তি কয়েক ধরণের সুবিধা প্রদান, আবার অনেকের নাম বাদপড়া সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন বঞ্চিত জনতা। ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করে স্থানীয় বঞ্চিত শতাধিক লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নালিশ করতে আসেন। নির্বাহী কর্মকর্তাকে পেয়ে তারা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজুর কাছে নালিশ করে ফিরে যান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য রণধির কান্তি দাস রান্টু বলেন, আমার তালিকা থেকে ৫০ টি নাম কর্ত্তন করার কারণে তারা বঞ্চিত হয়েছেন। আমি বঞ্চিতদের শান্তনা দিয়েছি, তারা আগামিতে পাবেন। এছাড়া একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে চাল বিতরণে অনিয়মের কারণে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বঞ্চিতরা লাঞ্ছিত করেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া জানান, চাল বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি। তবে স্থানীয় গাদিয়ালা গ্রামের হামিদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি আমাকে নয়, আমার চাচাতো ভাই রেজাউল করিমকে লাঞ্ছিত করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছি। জানতে চাইলে চিলাউড়া-হলদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরশ মিয়া জানান, চাল বিতরণে কোন অনিয়ম হচ্ছে না। তবে যারা বাদ পড়েছেন, তাদেরকে আগামিতে দেয়া হবে। এছাড়া উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাসিমের বিরুদ্ধে। ওজনে কম দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন স্থানীয় জনতা। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শামীম আল ইমরান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।