জঙ্গি ইস্যু: গণমাধ্যমকে সংযত হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
জঙ্গি ইস্যুতে গণমাধ্যমগুলোকে সংযতভাবে সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জঙ্গিরা উৎসাহিত হয় এমন কোন খবর পরিবেশন না করাই ভালো। গণমাধ্যমগুলোকে এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হতে হবে। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এমন আহবান করেছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোর থেকে সিলেটের শিববাড়ী এলাকার আতিয়া মহল নামক বাড়িতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু হয়। অভিযানের প্রথম দিককার দৃশ্যগুলোর সরাসরি সম্প্রচার করে কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। কিন্তু পরে কর্তৃপক্ষের আহ্বানের পর তারা সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে তারা। তবে অভিযানের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর কমান্ডো দলের শনি ও রোববারের দুই দফা প্রেস ব্রিফিং সরাসরিই সম্প্রচার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুলাইতে গুলশান হামলার ঘটনা শুরু থেকেই সরাসরি সম্প্রচার করেছিলো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। তখন অভিযানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা, তাদের প্রস্তুতি আক্রমণের কৌশল পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরেন প্রতিবেদকরা। তবে এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধে চূড়ান্ত অভিযানের আগে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, টিভি চ্যানেলে অভিযানের খুঁটিনাটি প্রচার হলে ভেতরে জঙ্গিরা সেসব তথ্য জেনে যায়। এতে অভিযান বাধাগ্রস্থ হয়। কেবল বাংলাদেশে নয়, ভারতের মুম্বাইয়েও তাজ হোটেলে হামলার পর ভেতরে থাকা জঙ্গিরা টিভি সম্প্রচার থেকেই বাইরের ঘটনা সম্পর্কে তথ্য পেয়েছিলো বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীদের জঙ্গি তৎপরতা রুখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসী ঘটনার প্রেক্ষিত বিবেচনা করলে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে।