জবাই করে স্ত্রীকে খুন, স্বামী আটক
সুনামগঞ্জ :: জামালগঞ্জ উপজেলায় দাম্পত্য কলহের জের ধরে সামিয়া বেগম নামের এক গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে । শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ঘাতক স্বামী জালাল উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে,৷ ।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চ মাসে জামালগঞ্জ উপজেলার ভিমখালী ইউনিয়নের ক্ষেতি মামুদপুর গ্রামের প্রবাসী গোলাম জিলানীর মেয়ে সামিরা বেগমকে বিয়ে করে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইচ্চারচর গ্রামের আব্দুস সোবানের ছেলে জালাল উদ্দিন। মেয়ের বাবা প্রবাসী হওয়ায় যৌতুকের জন্য প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতো স্বামী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। মাস খানেক আগে নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে যান সামিয়া। শুক্রবার শ্বশুর বাড়ি স্ত্রীকে আনতে যায় ঘাতক জালাল। স্ত্রীর স্বজনরা জালালের বাবা ও মা ছাড়া তাদের মেয়েকে স্বামীর হাতে তুলে দেবেন না বলে জানালে ক্ষুব্ধ হয় জালাল। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সে ঘুমন্ত স্ত্রীর উপর ধারালো দা নিয়ে চড়াও হয়। স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে। স্ত্রীর মাথা, পেটে ও হাতে ধারালো দায়ের কোপ রয়েছে।
গভীর রাতে সামিয়ার ছটফটানি শুনে বাড়ির লোকজন দেখেন তাদের মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে যাচ্ছে জালাল। তারা পিছন দিক থেকে ধাওয়া করলে সে পার্শবর্তী হাওরের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় হাওরে মাছ ধরায় নিয়োজিত জেলেরা ঘাতক জালাল উদ্দিনকে আটক করেন। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জালাল উদ্দিনকে থানায় নিয়ে গেছে। নিহত সামিয়ার দুলাভাই নিজাম উদ্দিন বলেন, বিয়ের পর থেকেই জালাল সামিয়াকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো। তার নির্যাতন সইতে না পেরে গত মাসে বাবার বাড়ি চলে আসে সামিয়া। এখানে এসে শুক্রবার রাতে তাকে জবাই করে হত্যা করেছে ঘাতক জালাল। আমরা তার ফাঁসি চাই। জামালগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।