জাতিসংঘ মিশনে প্রথমবারের মতো ২ বাংলাদেশি নারী পাইলট
ঢাকা: বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিয়েছেন বিমান বাহিনীর দু’জন মহিলা বৈমানিক। এরা হলেন- ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্ন-ই-লুতফী। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার (২৬ নভেম্বর) এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ৩টি কন্টিনজেন্টের মোট ৩৫৮ জন শান্তিরক্ষী প্রতিস্থাপন করতে যাচ্ছে। বিএএফ কন্টিনজেন্টের ১১৫ সদস্যের প্রথম দলটি আগামী ২৯ নভেম্বর কঙ্গোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে। কন্টিনজেন্টের বাকি সদস্যরা পর্যায়ক্রমে কঙ্গো যাবেন। কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১টি সি-১৩০ পরিবহন বিমান, ৬টি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার বিভিন্ন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্টসহ মোতায়েন রয়েছে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার রবিবার বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার-এ কঙ্গোগামী ব্যানএয়ার সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
এসময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদেরকে সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার আহবান জানান। বিমান বাহিনী প্রধান একটি সুশৃঙ্খল ও সুশিক্ষিত বাহিনীর সদস্য হিসেবে কঙ্গোগামী বিএএফ সদস্যদেরকে জাতিসংঘ ও বিমান বাহিনীর সকল নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার বিকল্প নেই। তিনি মিশনের সাফল্য কামনায় আয়োজিত এক বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। বিমান বাহিনী ১৯৯৩ সালে বসনিয়া হার্জেগোভিনায় শান্তিরক্ষী প্রেরণের মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৬ হাজার ৪৩০ জন সদস্য কুয়েত, পূর্ব তিমুর, আইভরী কোস্ট, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মালি প্রজাতন্ত্র, চাদ, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, সুদান এবং হাইতিসহ বিশে^র বিভিন্ন সংঘাতময় দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।