জামালগঞ্জ উপজেলায় হাওর পাড়ের কৃষকরা নতুন সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। উপজেলার ছোট বড় ১৩টি হাওর বোর আবাদে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অতীতে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি। গত বছরে পৌষ মাসেই পুরোদমে চারা রোপণের কাজ শুরু হলেও এ বছর তা হচ্ছে না এখনও। সবগুলো হাওরের পানি না কমায় বোর ধান রুপন নিয়ে  উৎকন্ঠায় রয়েছে কৃষকরা । বিগত দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে অকাল বন্যায় বাঁধ ভেঙ্গে ফসল হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন কৃষকরা। এ বছর পাগনা, হাওর, হালির হাওর, চানুয়ার হাওর, ডাকুয়ার হাওর, মোহালিয়া হাওর, শনির হাওরের এক আংশ সুন্দর পুরের হাওর, গজারিয়া, মিনি পাগনা সহ তেরটি হাওরের পানি যে হারে কমছে তাতে করে বীজতলা তৈরি হলেও বোরো জমি রোপন করতে পারবে কিনা এই দুশ্চিন্তায় রয়েছে  প্রায় লক্ষ কৃষক।

জানা যায়- হাওরে বীজ বপনের সময় পার হয়ে গেলেও পাগনার হাওর ও হালির হাওর পানি নিষ্কাশনের নদী খাল বা স্লুইস গেইট ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না ছোট বড় ১৩টি হাওরের চাষাবাদের উপযোগী হয়নি এখনও। এবার বীজ তলা সঠিক সময়ে না শুকানোয় উঁচু জমিতে বীজ ফেলেছেন হাওর পাড়ের কৃষকগণ। যে পানির মাঝে হাওর পাড়ের মানুষ বসবাস আর বর্ষার ৬ মাস মাছ ধরে জীবন জীবিকা পরিচালনা করে, সেই পানি এখন লক্ষ হাওর বাসীর চিন্তা মহা সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড.সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, হাওরের পানি গত বছরের তুলনায় কমেছে একেবারেই কম এইভাবে পানি কমতে থাকলে ১৫-২০দিন পিছিয়ে যাবে বোর আবাদ মৌসম। দেরিতে রোপন করলে ফসলের ফলন কম হবে আগাম বন্যা সম্মুখীন কৃষকদের মনে এখন একটাই আতংক বিরাজ করছে ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn