শায়লা জেসমিন: যশোরের চৌগাছা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শায়লা জেসমিন জামায়াত নেতার মেয়ে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত যশোর জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। গত ২৮ ডিসেম্বর চৌগাছা পৌর আওয়ামী লীগের প্যাডে সভাপতি অধ্যক্ষ জাহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড এবং আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি ঢাকার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতারা উল্লেখ করেছেন যে, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক বোরাক মন্ডলের মেয়ে শায়লা জেসমিনই চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার স্বামী শফিউদ্দিন মণ্ডল ওরফে ফুল মিয়া পাতিবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। এই শায়লা জেসমিন আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের কিছু নেতাদের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে চৌগাছা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটি হাতিয়ে নিয়ে লাগামহীন দুর্নীতিতে লিপ্ত। ঢাকায় তার একাধিক ফ্ল্যাট আছে বলেও শোনা যায়।

শায়লা জেসমিন আসন্ন চৌগাছা মেয়র নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে খুলনা বিভাগের আওয়ামী লীগের কিছু দুর্নীতি পরায়ন নেতার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ করে চলেছেন। তিনি সেই সব নেতাদের কাছে অর্থ বিনিযোগ করেছেন। তিনি ঢাকায় আওয়ামী লীগের যুব নেতা ও আওয়ামী মহিলা লীগের কিছু কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অর্থ লেনদেন করেছেন। শায়লা জেসমিন বহুল আলোচিত পাপিয়া গ্রুপের সক্রিয় সদস্য বলেও দাবি করেছেন চৌগাছা পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা।

এ বিষয়ে শায়লা জেসমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে চৌগাছা পৌর আওয়ামী লীগের প্যাডে প্রধানমন্ত্রী জনত্রেী শেখ হাসিনা বরাবর দরখস্তে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ২০১৩ সালে আমাকে চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কোহিনুর আক্তার বেলিকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। যুগ্ম-সম্পাদক হেনা, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিমা এবং লিলিসহ আমাদের ৭১ সদস্যের কমিটিতে রোকেয়া রহমানের নাম নেই।

প্রসঙ্গত, রোকেয়া হাবিব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম হাবিবের স্ত্রী এবং আসন্ন পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চৌগাছা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ জাহিদুর রহমান বলেন, শায়লা জেসমিনের বাবা জামায়াতের লোক। আমি ১৯৯০ সাল থেকে পাতিবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলাম তখনও শায়লা জেসমিনের স্বামীরা বিএনপি করতো বলেই জানি। কবে থেকে যে তারা আওয়ামী লীগ হয়েছেন তা আমি জানি না।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান বলেন, শায়লা জেসমিনের পিতা ছিলেন জামায়াতের নেতা এবং তার স্বামী বিএনপির লোক বলেই জানিয়েছেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে দলীয় কার্যালয়ে তার সাথে আমার পরিচয়। তবে আমি শুনেছি তার পরিবার আওয়ামী লীগের না।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn