জীবনের মধুরতম স্মৃতি
খুব ছোট্টবেলা আমার বাবা আমাকে একটা মুজিবকোট বানিয়ে দিয়েছিলেন। ঐ সময় বঙ্গবন্ধু আমার রাজনীতির দীক্ষাগুরু জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় আমাদের এলাকায় এসেছিলেন নভেম্বরের ১৭ তারিখ। ছেলেবেলার অদম্য কৌতুহল থেকেই ১লা নভেম্বর, ৭০ বঙ্গবন্ধুর জনসভার প্রচারণার জন্য মাইকের মাইক্রোফোন দিয়ে চোঙা ফুকানো শুরু। ছোট্টবেলার সেই মুজিবকোট গায়ে দিয়ে একপাশে বঙ্গবন্ধু আর অন্যপাশে সামাদ আজাদ, মধ্যখানে আমি হেঁটে গিয়েছিলাম মাইলখানেক। বঙ্গবন্ধু সেদিন মাথায় হাত বুলিয়েছিলেন কয়েকবার। একে তো অনেক ছোট, গায়ে আবার মুজিবকোট। সেজন্য হয়তো সে সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। আমার জীবনের সবচেয়ে মধুরতম মুহুর্ত ও স্মৃতি হলো এটি। প্রায় ৪৯ বছর পর গত ৬ই এপ্রিল, ২০১৯ অল ইউরোপীয়ান আওয়ামী সোসাইটির পক্ষ থেকে আমার গায়ের বর্তমান মুজিবকোটটি উপহার পেয়েছি। তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করতে চাই না। তবে সবার জন্য শুভ কামনা নিরন্তর।