জেলার তিন থানার ওসি গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে
সুনামগঞ্জ জেলার তিন থানার ওসির নানা কর্মকান্ডের কথা গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এই ওসিদের মধ্যে আছেন দোয়ারাবাজার,দক্ষিন সুনামগঞ্জ ও দিরাই থানার ওসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে এবং বিভিন্ন থানার ওসিদের (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে এখন সংশয় তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন মেয়াদে যারা নিয়োগ পেয়েছিলেন এমন ৯৫ জন পরিদর্শককে নিয়ে গোপন প্রতিবেদন তৈরি করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জমা দেয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে নাম এসেছে বৃহত্তর সিলেটের ৭টি থানার ওসির। সূত্র জানিয়েছে, ওই গোপন প্রতিবেদনে তাদের (ওসি) শিক্ষাজীবন, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, মতাদর্শ এবং তাদের আত্মীয়স্বজনের কর্মকাণ্ডের তালিকা সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে।সূত্র আরো জানায়, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে- ওই কর্মকর্তাদের অনেকে নিজেদের আড়াল করে বর্তমানে অতিমাত্রায় আওয়ামী লীগ সেজেছেন। সময়মতো এসব কর্মকর্তা তাদের খোলস বদলে আগের ভূমিকায় ফিরে যেতে পারেন। যা সরকারের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাদের বেশিরভাগই ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে নিয়োগ পেয়েছেন।
জানা গেছে, ওই গোপন প্রতিবেদনে যাদের নাম এসেছে, তাদের অনেকেই ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা এখনো গোপনে বিএনপি-জামায়াতকে সহায়তা করছেন। তাদের অনেকের আত্মীয়-স্বজন বর্তমানেও বিএনপি-জামায়াতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন।গোপন ওই প্রতিবেদনে সিলেট বিভাগের ৭টি থানার ওসি নাম এসেছে। তাঁরা হচ্ছেন- সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানার ওসি মাইনুল জাকির, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার ওসি বদরুল আলম, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আজমিরুজ্জামান, নবীগঞ্জ থানার ওসি আতাউর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো. এনামুল হক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার উদ্দিন ও দিরাই থানার ওসি মোস্তফা কামাল। গোপন এই তালিকার বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, যাদের নাম এসেছে, তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।