জেলা ছাত্রলীগে বিভক্তি
সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপনের পর এবার সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে পৃথকভাবে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন। পৃথকভাবে করলেও দু’জনেই জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করেন। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন হলেও দুই গ্রুপের আনন্দ মিছিলে লোক সমাগম বাড়াতে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের অংশ নিতে দেখা যায়। গত শনিবার বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপনের নেতৃত্বে শহরের উকিলপাড়া থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। পরে এই বলয়ের নেতাকর্মীরা উকিলপাড়ায় সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবুল হাসনাত কাওছার, যুগ্ম সম্পাদক তৈয়বুর রহমানসহ জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। ছাত্রলীগের এই বলয়টি জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমেদ চৌধুরী’র অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে, সোমবার দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে’র নেতৃত্বে আরেক অংশ শহরের কালিবাড়িস্থ জেলা পরিষদ রেস্ট হাউস থেকে আনন্দ মিছিল বের করে। পরে এই অংশটি আলফাত স্কয়ারে সমাবেশ করে। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি লিখন আহমেদ, সহ-সভাপতি গৌতম তালুকদার দীপ, আবু সাঈদ আপন, কাউসার আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাহাত আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জুনায়েদ আহমদ, মাহমুদুল হাসান তারেক প্রমুখ।
এই দুই বলয়ের আনন্দ মিছিলে অবশ্য জেলা কমিটির অনেককেই অংশ নিতে দেখা যায়নি। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেওয়ান এনায়েত রেজা জিসান, ওয়াসিম মাহমুদ, আশরাফুল ইসলাম, তৌফিক ইসলাম, সাজ্জাদুর রহমান লিমন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন, মাসকাওয়াত জামান ইন্তি, তানভীর আলম পিয়াস, মাহবুবুল আলম সামী, মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমদ, শাহিন মিয়া, আসেফ বখত রাদ, সৃজন দেবনাথ, ইশতিয়াক আলম পিয়াল, কেএম তানভীর রশিদ ইমন কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। তবে দুই বলয় থেকে আনন্দ মিছিলে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিনা তা জানা যায়নি। দুটি বলয়ের মিছিলেই লোক সমাগম বাড়াতে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের অংশ নিতে দেখা যায়। পৃথকভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করায় নেতাকর্মীদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে।