জ্যোৎস্না দেখতে টাংগুয়ার হাওরে দর্শনার্থীদের ঢল
শুক্রবার ও শনিবার দু’রাত টাংগুয়ার হাওরের জোছনা দেখতে পর্যটকরা নৌকার মধ্যেই রাত্রি যাপন করবেন সেই সাথে টাংগুয়ার হাওরের বুকে জ্যোৎস্না উপভোগ করবেন বলে জানান রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটকগন জানান-আমরা সকল বন্ধু-বান্ধব মিলে আজ টাংগুয়ার হাওরে রাত্রি যাপন করব এবং নৌকার মধ্যেই আমরা রাতের খাওয়া-দাওয়া করব। টাংগুয়ার হাওরে জোছনা দেখব বলে পরিকল্পনা ছিল প্রায় মাস খানেক ধরেই। তবে বৃষ্টি কারনে হয় ত জোছনা দেখা না ও হতে পারে। তাহিরপুরের নৌকা ঘাটের একাধিক মাঝি জানান,শুক্রবার টাংগুয়ার হাওরে শতাধিক নৌকায় প্রচুর পর্যটকগন বন্ধু,বান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে গেছেন। হাওরে রাতে থাকবেন বলে নৌকা রিজাব করে। যার জন্য এই উপজেলার একটি নৌকাও নেই। অন্য উপজেলা থেকে নৌকা এনেও সামাল দিতে পারছেন না কেউ। তাহিরপুর বাজারের একাধিক দোকানীগন জানান,আজ অন্য দিনের তুলনায় বেচা কেনা ভাল হয়েছে। আজকে প্রচুর মানুষ উপজেলায় এসেছে। সবার উদ্দেশ্য টাংগুয়ার হাওরে রাতে জোঁছনা দেখা আর এই উপজেলার অন্যন্যা দর্শনীয় স্থানগুলো দেখা। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলেছেন,মঙ্গল উপবৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে সূর্যকে। তার ফলে,মঙ্গল তার কক্ষপথে এক বার সূর্যের নিকটতম বিন্দুতে (পেরিহিলিয়ন) থাকে। আর একবার থাকে দূরতম (অ্যাপিহিলিয়ন) বিন্দুতে। মঙ্গল তার কক্ষপথে পেরিহিলিয়ন বিন্দুতে থাকার কাছাকাছি সময় যদি প্রতিযোগ হয়,তা হলে মঙ্গল আরও কাছে চলে আসে পৃথিবীর। এটাকেই বলে,‘ফেভারেব্ল অপোজিশন বা সুবর্ণ প্রতিযোগ।
শুক্রবার দিবাগত রাত এই সুবর্ণ প্রতিযোগই হবে মঙ্গলের। তার ফলে,‘লাল গ্রহ’কে আরও উজ্জ্বল দেখাবে রাতের আকাশে। আরো বলেছেন,‘মঙ্গল তার কক্ষপথে পেরিহিলিয়ন বিন্দুতে থাকবে ১৬সেপ্টেম্বর। মঙ্গলের এই সুবর্ণ প্রতিযোগ হয় প্রতি ১৫বা ১৭বছর অন্তর। পরবর্তী সুবর্ণ প্রতিযোগ হবে ১৭বছর পর। ২০৩৫-এর ১১সেপ্টেম্বর। তখন মঙ্গল ও পৃথিবীর দূরত্ব কমে হবে প্রায় ৫কোটি ৬৯লক্ষ কিলোমিটার।