ঝুঁকিতে থাকলেও বিপদে নেই বাংলাদেশ
ঢাকা: র্যানসমওয়্যার নামে এক ধরনের ম্যালওয়্যারে অচল হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়াসহ বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশের হাজার হাজার কম্পিউটার সিস্টেম। আক্রান্ত কম্পিউটারে বার্তা দিয়ে ৩০০ ডলারের বিনিময়ে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেয়ার কথাও জানিয়েছে হ্যাকাররা। বিশ্বের ৭৫ হাজারের বেশি কম্পিউটার এতে আক্রান্ত হলেও শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় এ ধাক্কা থেকে বেঁচে গেছে বাংলাদেশ। তবে বেঁচে গেলেও ঝুঁকি মোকাবিলায় সবাইকে সজাগ হবার পরমর্শ দিয়েছেন দেশের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং বিডিনগ বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ সাবির ব্রেকিংনউজ.কম.বিডিকে মুঠোফোনে বলেন, ‘শুক্রবার এই সাইবার হামলা হওয়ায় আমরা বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছি। এখনই সিস্টেমের সুরক্ষা বিষয়ে আমাদের সকলকে সজাগ হতে হবে। সবার মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কম্পিউটার সিস্টেমের প্যাচ ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার হালনাগাদ করার অভ্যাস করা গেলে এ ধরনের আক্রমণ থেকে আমরা বেঁচে থাকতে পারবো। পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার কমিয়ে দিলে হামলায় ক্ষতি কম হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের হামলার স্বীকার হলেও অনেক প্রতিষ্ঠানই সুনামক্ষুণেœর ভয়ে স্বীকার করতে চান না। এ ভয় বা লজ্জা থেকে বের হয়ে এসে জাতীয়ভাবে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।’
সুমন বলেন, ‘দেশের ৯৬ শতাংশই উইন্ডোজ সিস্টেম ব্যবহারকারী। কিছুদিন আগে উইন্ডোজ একটি প্যাচ সিস্টেম আপডেট করেছে। যারা এটি করেননি তারা ঝুঁকিতে রয়েছেন। অবশ্য আমরা সাইবার ঝুঁকিতে থাকলেও বিপদের মুখে নেই। আতঙ্কিত না হয়ে জাতীয়ভাবে এটি মোকাবিলা করতে হবে।’ সাবাইর ঝুঁকি নিয়ে তরুণ সফটওয়্যার ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নাহিদ হোসেন বলেন, ‘দেশের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানগুলো পাইরেটেড উইন্ডোজ সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। অনেকের জন্য এটি কেনা ব্যয়বহুল। আর এর ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই ভালো ভাবে জানেন না। তাই সরকারের উচিত ভাইরাস ও ম্যালওয়্যারের আক্রমণ মুক্ত লিন্যাক্স সফটওয়্যারের সরবরাহ বাড়ানো। এতে ব্যয় ও ঝুঁকি উভয়ই কমবে।’ এদিকে ইন্টেল এর সাইবার ঝুঁকিভিত্তিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ‘বাংলাদেশ কিছুটা ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের মানচিত্রের ওপর একটি নীল সংকেত দেখানো হয়েছে।’