ট্রাম্পের কাছে রাষ্ট্রদ্রোহী অভিযোগ করা কে এই প্রিয়া সাহা
কে এই প্রিয়া সাহা? কী তার পরিচয়?
প্রিয়া সাহা বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। রানা দাস গুপ্ত ওই ঐক্য পরিষদের সভাপতি। প্রিয়া সাহার বাড়ি চরবানিরী মাটিভাঙ্গা, নাজিরপুর, পিরোজপুর। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, রোকেয়া হলে থাকতেন। এখন একটি এনজিও আছে ওনার। বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়, বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার নাটক করে প্রচুর বিদেশি ফান্ড কালেক্ট করেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি চরবানিরী, মাটিভাঙ্গা, নাজিরপুর, পিরোজপুর।
প্রিয়ার স্বামী মলয় সাহা সহকারী পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), তাদের দুই মেয়ে কয়েক বছর ধরে মলয় সাহার দুর্নীতির টাকায় আমেরিকায় বসবাস করছেন, কিছুদিন পূর্বে প্রিয়া সাহাকে দুদকের অফিসিয়াল গাড়ি ব্যবহার করে এয়ারপোর্টে পৌছে দেন তার স্বামী, দুদকের সহকারী পরিচালক মলয় সাহা। সকালে এয়ারপোর্ট পৌছে ফ্লাইট মিস করেন প্রিয়া, তারপর সেদিন রাতেই আরেকটি ফ্লাইটে তিনি আমেরিকায় রওনা হন। প্রিয়া সাহার এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গী হওয়ায় তার স্বামী মলয় সাহাকে অতিদ্রুত চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক; ভুলে গেলে চলবে না তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে অলরেডি অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন বাংলাদেশের। তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি।ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিপক্ষে নালিশ চক্রান্ত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রাশিদা হক কনিকা তার ফেসবুক পেজে এই ঘটনার প্রতিবাদে লিখছেন, সেখানে এই মহিলা কিভাবে পৌঁছালো,কারা নেপথ্যে কলকাঠি নাড়াচ্ছে তা কিন্তু স্পষ্ট। ট্রাম্পের সেখানে যে ক’টি দেশের তালিকা ছিল,সেখানে বাংলাদেশের নাম ছিল না। তাহলে কেনো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হলো,কারা এই প্ররোচনায় এই মহিলাকে দিয়ে প্ররোচিত করেছে। সেসব ষড়যন্ত্রকারীর আসল চেহারা জনসম্মুখে বের করা আনা সময়ের দাবি।
যেসব দেশগুলো সেখা থাকার কথা সেসব দেশগুলো হলো – বার্মা, নিউজিল্যান্ড, ইয়েমেন, চীন, কিউবা, ইরিত্রিয়া, নাইজেরিয়া, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, সুদান, ইরাক, আফগানিস্তান, উত্তর কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইরান এবং জার্মান ছিল। এটা নিশ্চিত যে, এটা বিরাট ধরনের কোন ষড়যন্ত্রের অংশ।এই মহিলার পেছনে কোন সে শক্তি, তাদের দ্রুত শনাক্ত করা হোক। যেখানে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে ট্রাম্পের সহযোগিতা চায়নি।সেখানে এই মহিলা মিথ্যে বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে সরাসরি ষড়যন্ত্র মূলক নালিশ দিয়েছে। সবাই প্রস্তুত হন এদের মুখোশ উন্মোচন করতেই হবে। বাংলাদেশে এখন এই সরকারের আমলে সংখ্যালঘুরা মহান তবিয়তে আছে। রাজার হালে থেকেও তাদের দেবতা ট্রাম্পের কাছে নালিশ করতে গেছে এই মহিলা! ৮% হিন্দু ৩৩% সরকারি চাকুরি করছে, অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে ৩০% মুসলিম ২% সরকারি চাকরি করছে।
বাংলাদেশে নাকি ৩৭ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩ কোটি ৭০ লক্ষ হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান গুম হয়ে গেছে! বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদীরা নাকি তার জায়গাজমি দখল ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। বিচার দিয়ে এসেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এবং ট্রাম্পের সাহায্য কামনা করছে… আসলে মহিলাটি হলো রানা দাস গুপ্তের রক্ষিতা। নয় এতো বড় মিথ্যে বানোয়াট কথা ট্রাম্পের কাছে করতে পারতো না।