ডিসিদের রাষ্ট্রপতি বিব্রতকর কিছু করবেন না
অতি উৎসাহী হয়ে ‘বিব্রতকর’ কিছু না করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ইউএনও গাজী তারিক সালমনকে নিয়ে ঘটনার রেশ চলার মধ্যে ঢাকায় সম্মেলনে অংশ নিতে আসা জেলা প্রশাসকদের প্রতি এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি বলেন, ‘অতি উৎসাহী হয়ে এমন কিছু করবেন না, যাতে সরকার ও আমলাতন্ত্রকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়।’
সম্প্রতি একটি মামলা নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন বরগুনার ইউএনও তারিক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে বঙ্গবন্ধুর ছবিকে বিকৃত করার। বরিশালের আগৈলঝাড়ার ইউএনও থাকার সময় শিশুর আঁকা একটি ছবি স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রে ব্যবহার করেছিলেন তিনি। এ জন্য তার বিরুদ্ধে বরিশাল জেলা আওয়মী লীগের এক নেতা মামলা ঠুকে দেন। যে মামলায় তাকে দুই ঘণ্টা কোর্ট হাজতে রাখা হয়। আর এ নিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে আওয়ামী লীগ তথা সরকার। এ ঘটনার পর ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কারের পাশাপাশি বরিশাল ও বরগুনার জেলা প্রশাসক উভয়কে বদলি করা হয়েছে।
তিন দিনের সম্মেলনে অংশ নিতে সারা দেশের জেলা প্রশাসকরা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। বুধবার তারা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আপনারা অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও সম্মানজনক পদে অধিষ্ঠিত। তাই দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত সচেতন ও কৌশলী হতে হবে। ভয়-ভীতি, প্রলোভন, অনুরাগ বা বিরাগের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, প্রশাসন এখন উন্নয়নমুখী, গণমুখী। তাই পুরাতন আমলাতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণা ছেড়ে দেশ ও জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবেন।’ সরকারি কর্মচারীদের বেতন ‘বহুলাংশে’ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে দুর্নীতি রোধ করতে হবে এবং যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।’
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসকদের আরও সক্রিয় হতেও বলেন আবদুল হামিদ। সরকারি সম্পত্তি, খাল, নদী, পাহাড় থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদেও জেলা প্রশাসকদের সক্রিয়তা প্রত্যাশা করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন ‘জাতীয় স্বার্থে সরকারি সম্পত্তি, বন, নদী, পাহাড়, খাল ও উš§ুক্ত জলাশয় রক্ষা করতে হবে। পাহাড় কাটা ও নদী থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। পানির প্রবাহ ও আধার অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।’ বঙ্গভবনের দরবার হলে এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুম ও নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান বক্তব্য দেন। পরে রাষ্ট্রপতি সব জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করেন এবং তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
সম্প্রতি একটি মামলা নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন বরগুনার ইউএনও তারিক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে বঙ্গবন্ধুর ছবিকে বিকৃত করার। বরিশালের আগৈলঝাড়ার ইউএনও থাকার সময় শিশুর আঁকা একটি ছবি স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রে ব্যবহার করেছিলেন তিনি। এ জন্য তার বিরুদ্ধে বরিশাল জেলা আওয়মী লীগের এক নেতা মামলা ঠুকে দেন। যে মামলায় তাকে দুই ঘণ্টা কোর্ট হাজতে রাখা হয়। আর এ নিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে আওয়ামী লীগ তথা সরকার। এ ঘটনার পর ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কারের পাশাপাশি বরিশাল ও বরগুনার জেলা প্রশাসক উভয়কে বদলি করা হয়েছে।
তিন দিনের সম্মেলনে অংশ নিতে সারা দেশের জেলা প্রশাসকরা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। বুধবার তারা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আপনারা অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও সম্মানজনক পদে অধিষ্ঠিত। তাই দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত সচেতন ও কৌশলী হতে হবে। ভয়-ভীতি, প্রলোভন, অনুরাগ বা বিরাগের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, প্রশাসন এখন উন্নয়নমুখী, গণমুখী। তাই পুরাতন আমলাতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণা ছেড়ে দেশ ও জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবেন।’ সরকারি কর্মচারীদের বেতন ‘বহুলাংশে’ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে দুর্নীতি রোধ করতে হবে এবং যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।’
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসকদের আরও সক্রিয় হতেও বলেন আবদুল হামিদ। সরকারি সম্পত্তি, খাল, নদী, পাহাড় থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদেও জেলা প্রশাসকদের সক্রিয়তা প্রত্যাশা করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন ‘জাতীয় স্বার্থে সরকারি সম্পত্তি, বন, নদী, পাহাড়, খাল ও উš§ুক্ত জলাশয় রক্ষা করতে হবে। পাহাড় কাটা ও নদী থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। পানির প্রবাহ ও আধার অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।’ বঙ্গভবনের দরবার হলে এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুম ও নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান বক্তব্য দেন। পরে রাষ্ট্রপতি সব জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করেন এবং তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন।