ঢাকায় আসছেন মোদি
‘প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রথম সম্পর্ক’ নীতির অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির তথ্য বিভাগ। দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ককে এক ‘অভূতপূর্ব নতুন উচ্চতায়’ উন্নীত করার জন্য এ সফর হবে বলে জানিয়েছে তারা। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, মোদি এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আর সফরের সময়সূচি কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ঠিক করা হবে। তবে ভারতীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মোদি তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বিদেশ সফরে মালদ্বীপ যাবেন। সফরের বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হওয়ায় ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, মোদি ৮ জুন মালদ্বীপ সফর করবেন। মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদ টুইটারে প্রকাশ করেছেন, সফরে মোদিকে দেশটির সংসদে ভাষণ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি রেজল্যুশন গ্রহণ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে তাদের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালের ৬-৭ জুন রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ আসেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৭-১০ এপ্রিল ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে যান। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো প্রথম বিদেশি নেতাদের অন্যতম ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ‘অসাধারণ নিবিড় ও আন্তরিক বন্ধন’ এবং দুই নেতার চমৎকার সম্পর্কের প্রতিফলন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী যথাযথভাবে উদযাপনের যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এটা করা উচিত।
মোদি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা দুদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কটি ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হয়ে আছে। তিনি বলেন, স্থল সীমান্ত নির্ধারণসহ বেশকিছু জটিল অমীমাংসিত সমস্যা নিরসনে গত পাঁচ বছরে দুই দেশ অত্যন্ত পরিপক্বতা এবং ধৈর্য দেখিয়েছে। সাক্ষাতে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চমৎকার অবস্থা নিয়ে পরম সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনন্দন নরেন্দ্র মোদিকে পৌঁছে দেন। শেখ হাসিনা পূর্ব নির্ধারিত সফরে সৌদি আরব থাকায় ভারত যেতে পারেননি। গত বৃহস্পতিবার ভারতের নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার নয়াদিল্লি যান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।