ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ভুলে যন্ত্রনায় পড়েছেন সুনামগঞ্জের এক নারী। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের পক্ষ থেকে জরুরি সেবা নেওয়ার জন্য যে ৩টি নম্বর দেওয়া আছে তার একটিতে ফোন করলে তা চলে যাচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার এক নারীর কাছে। এ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ভুক্তভোগী নারী। যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে ঐ নারী বলেন, আমি বাজার থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে সিমটি কিনি। দুই মাসের ও বেশি সময় ধরে এই নম্বর ব্যবহার করছি। বিভিন্ন সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয়ে কল দিয়ে সহযোগিতার কথা বলে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে বেশি কল আসছে। এত বড় একটা প্রতিষ্ঠান কীভাবে এ ভুল করে। এ নিয়ে তিনি বেশ ভোগান্তিতে আছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে কীভাবে এই ভুল হল তা খতিয়ে দেখব। এদিকে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য অন্য যে দুটি নম্বর দেওয়া আছে তাতে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অন্য দুটি নম্বরের মধ্যে দ্বিতীয়টিতে ফোন করলে কেউ কল ধরেননি। তৃতীয় নম্বরটিতে ফোন করে সেটি সচল পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ২০১৯ সাল থেকে ঢাবিতে অনলাইনে বিভিন্ন সেবা চালু করা হয়। যার একটা অনলাইনে পরীক্ষার ফরম পূরণ করা। যদি কেউ অনলাইনে ফরম পূরণ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন, তাহলে তাকে এই ৩টি নম্বরে যোগাযোগের জন্য নির্দেশিকা দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাবির কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এমন ভুল অগ্রহণযোগ্য। ইতিমধ্যে এ সমস্যার কথা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণকে জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি। এ বিষয়ে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৪৬ বার