ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনের কাজ শীঘ্র শুরু হবে-মন্ত্রী কাদের
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনের কাজ শুরু করতে আর কোনো বাধা নেই বলে সংসদকে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে এই সড়ক চার লেনে করার জন্য চায়না হার্বার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আশা করছি এই সড়ক নির্মাণে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।’ বুধবার জাতীয় সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী বলেন, ‘এই সড়ক চার লেনে করা নিয়ে অনেক জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছে। বিগত বিএনপি সরকার চার লেনের সড়কটিকে দুই লেনে নির্মাণ করেছে। অথচ তাদের আমলে অর্থমন্ত্রীও ছিলেন সিলেটের। কেন তারা চার লেনের সড়কটিকে দুই লেনে করল সেটা আমার বুঝে আসে না। এই জন্য এই সড়কটিকে আমি বলি দুর্ভাগা সড়ক।’
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা-সিলেটর সড়কটিকে ফের চার লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এরই অংশ হিসেবে আমরা চায়নার হার্বার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়। এরপর কিছু জটিলতা দেখা দেয়। কারণ আমরা অতিরিক্ত ব্যয়ের বোঝা মাথায় নিতে পারি না। এটা নিয়ে অনেক নেগোশিয়েশন হয়েছে। সর্বশেষ বিষয়টি অর্থমন্ত্রীর কাছেও গিয়েছে। আশা করছি এখন আর সমস্যা নেই। আগামীকাল অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়ও এই সড়কের প্রসঙ্গটি থাকবে বলেও আমি আশা করছি।’ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প ব্যয় ২০ শতাংশ বৃদ্ধির তাগিদ দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না হার্বার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। অন্যথায় প্রকল্প থেকে সরে যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে তারা। চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আগামী জুনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু করার কথা ছিল।
গত ৯ অক্টোবর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং চায়না হার্বার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে কাঠামো চুক্তি অনুযায়ী কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ২২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে খরচ হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা। চীন সরকারের অর্থায়নে প্রকল্পটির কাজ এ বছরের জুনে শুরু হয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সড়কমন্ত্রী জানান, বিমানবন্দর থেকে ইপিজেড পর্যন্ত চার লেনের এলিভেটেড এক্মপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। মানুষের হাঁটার জন্য নিচের সড়কে ফুটপাতও নির্মাণ করা হবে।