ঢাবিতে অধ্যাপক বহিষ্কারের নেপথ্যে নোংরামি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ক্লাসে ‘অশ্লীল চিত্র’ প্রদর্শনের অভিযোগ সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক অধ্যাপক ড. রিয়াজুল হককে না জানিয়েই সিন্ডিকেট কমিটির কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রদান করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আবু ইউসুফ বিভাগীয় কোনো রকম সতর্কবার্তা এবং অবহিতকরণ চিঠি না দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তদন্তে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ আরও তিনজনকে নিয়ে মোট পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে গতকাল (৮ মার্চ) পর্যন্ত তদন্ত কমিটি কোনো কাজ করেনি বলে জানা গেছে। এই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করছে অধ্যাপক রিয়াজুল তার পদে ফিরে যেতে পারবেন নাকি স্থায়ী বহিষ্কার হবেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক গণমাধ্যম থেকে তার বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপের খবর জানতে পারেন। এমনকি তিনি যে কোর্সটিতে শিক্ষার্থীদের ‘অশ্লীল চিত্র’ প্রদর্শন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সে কোর্সটিও শেষ হয়ে গেছে গত ডিসেম্বরে। কোর্স চলাকালীন অবস্থায় কোনো শিক্ষার্থী আপত্তি না তুললেও কয়েক মাস পর কেন আপত্তি তোলা হল? আর কেনই বা এই ঘটনার বিষয়ে অধ্যাপক রিয়াজুল হককে লিখিতভাবে জানানো হয়নি? এমন প্রশ্ন তুলেছেন অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা বলছেন, ‘বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আবু ইউসুফ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলছেন না। তবে এর আগে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেন যে, অধ্যাপক রিয়াজুলকে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে লিখিতভাবে জানাননি তবে মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন। যদিও অধ্যাপক রিয়াজুল দাবী করেছেন তাকে লিখিত বা মৌখিক কোনোভাবেই কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন অধ্যাপক জানিয়েছেন, বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আবু ইউসুফ এবং চেয়ারম্যানের অনুগত অধ্যাপক তৈয়বুর রহমান বেশ আগে থেকেই অধ্যাপক রিয়াজুলের প্রতি অসন্তুষ্ট। অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের সিনিয়রিটি অনুযায়ী বিভাগের পরবর্তী চেয়ারম্যান হতে চলছিলেন অধ্যাপক রিয়াজুল হক। বিভাগের ফান্ডের টাকা নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন। উন্নয়ন গবেষণা সেন্টারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। এ সেন্টার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন চেয়ারম্যান। ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা অন্য দুজন অধ্যাপক এ ঘটনার খলনায়ক হিসেবে কাজ করছেন বলেও সূত্রটি জানায়। অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান মিলে তাই তাকে অভিযোগ সম্পর্কে না জানিয়েই শিক্ষার্থীদের দিয়ে কৌশলে অভিযোগ করিয়ে তা দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।
বিভাগীয় অভিযোগের ফলে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রিয়াজুল হককে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে বহিস্কারের বিষয়ে এক সপ্তাহেও কোনো লিখিত আদেশ পাননি অধ্যাপক রিয়াজুল। বিভিন্ন গণমাধ্যমে অধ্যাপককে না জানিয়েই বহিষ্কার করা হয়েছে দাবী করে সংবাদ প্রকাশের পর গত বুধবার (৮ মার্চ) তাকে লিখিত নির্দেশের মাধ্যমে জানানো হয় তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের আলোকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় সাময়িক বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বহিস্কারের সাথে সাথে তার বেতনও আটকে দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক রিয়াজুল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন কোর্সেও জেন্ডার নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ দিতেন। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অধ্যাপক রিয়াজুলের কোর্সটি সম্পর্কে কোনো শিক্ষার্থী অভিযোগ না করলেও সান্ধ্যকালীন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে বলে পূর্বপশ্চিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে।
তবে সান্ধ্যকালীন কোর্সের যেসব শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে তারা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা। ডিসেম্বরের দিকে কোর্সটি শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা অধ্যাপক রিয়াজুলকে বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি রৌপ্য মুদ্রা খচিত নান্দনিক ক্রেস্টও উপহার দিয়েছিল। কোর্স শেষ হওয়ার পরপর ওই কোর্সের ফলাফলও পেয়ে গেছেন শিক্ষার্থীরা। অধ্যাপক রিয়াজুল বলেন, কোর্স কনটেন্ট নিয়ে কোনো আপত্তি থাকলে কোর্স চলাকালীন সময়ে অভিযোগ না করে বরং কোর্স শেষে আমাকে তারা কৃতজ্ঞতা হিসেবে খুশি মনে উপহারও দিল। তখনো তাদের মনে হয়নি আমি অশ্লিল কিছু দেখিয়েছি। রেজাল্ট হয়ে গেল, তারা নতুন কোর্সে ক্লাশ শুরু করে দিলেন তখনই কেবল তাদের মনে পড়লো আগের কোর্সটি অশ্লিল ছিল।
পূর্বপশ্চিমের পক্ষ থেকে ওই কোর্সে অংশ নেওয়া একাধিক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্যতিত বাকি সবাই অধ্যাপক রিয়াজুলের উপর সন্তুষ্ট এবং তারা ওই কোর্স থেকে অজানা অনেক কিছুই শিখতে পেরেছেন। জানা গেছে, কোর্সটি জেন্ডার রিলেটেড হওয়ায় অধ্যাপক রিয়াজুল স্লাইডে কিছু ছবি দেখিছেন যা নিয়ে তার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ আনা হয়েছে। স্লাইডে প্রদর্শিত ছবিগুলো সম্পর্কে ওই কোর্সে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান তারা ছবিগুলো আগেও দেখেছেন। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং টেলিভিশনে প্রচারিত অনুষ্ঠানের স্থিরচিত্র থেকে অধ্যাপক রিয়াজুল ওই ছবিগুলো নিয়েছেন। তবে ওই ছবিগুলোকে তিনি প্রতিকী ছবি হিসেবে ব্যবহার করেছেন। পরিচিত ছবিগুলোকে প্রতিকী ছবি হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের তার কোর্সটি বুঝাতে চেষ্টা করেছেন।
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সান্ধ্যকালীন ওই কোর্সে মোট ১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক ওই কোর্সে তিনি যেসব টপিকস নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তা হলো- ১. জেন্ডার এন্ড বেসিক টার্মস এন্ড কনসেপ্টস, ২. হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট প্যারাডিজম এন্ড এথিকস, ৩.এনজেন্ডারিং এডুকেশন, ৪.এনজেন্ডারিং হেলথ, ৫. জেন্ডার ডাইমেনশন ইন ডেভেলপমেন্ট এন্ড পাবলিক, ৬. ভায়োলেন্স এগাইনস্ট উইমেন, ৭. ভালনারেবিলিটি, ফেমিনিজ্যাশন অফ প্রোভারেটি এনজিওস এন্ড দ্যা ব্যাটেল এগাইনস্ট প্রোভার্টি থ্রো এমসি, ৮. দ্যা বডি পলিটিক্স: প্রস্টিটিউশন সেক্সুয়ালিটি এন্ড দ্যা ‘ল ইন বাংলাদেশ, ৯. চ্যালেঞ্জ ফর উইমেনস মুভমেন্ট ইন বাংলাদেশ: ইসলাম এন্ড এনজিওস পলিটিক্স, ১০. ফেমিনিস্ট রিসার্চ মেথোডোলজি ১১. বডি পলিটিক্স: এলজিবিটি এন্ড দ্যা ‘ল ইন বাংলাদেশ।
জেন্ডার বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর সামাজিক গবেষণা কেন্দ্রর পরিচালক, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘যে কনটেন্টগুলোকে অশ্লীল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে আমি তা দেখেছি। আমি সেখানে আপত্তিকর বা অশ্লিল কিছু খুঁজে পাইনি। আমি গত ১৫ বছর ধরে জেন্ডার কোর্সটি পড়াচ্ছি এবং বডি কনস্ট্রাকশন, সেক্সুয়ালিটি, হ্যারাসমেন্ট ইত্যাদি বোঝাতে শ্রেণিকক্ষে আমারও প্রাসঙ্গিক চিত্র ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। যদি কোর্স কনটেন্ট অশ্লিল আখ্যা দিয়ে কোনো অধ্যাপককে চাকরিচ্যুত করা হয় তবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে জেন্ডার স্টাডিজ, জেন্ডার গবেষণা ও জেন্ডার উন্নয়ণ বড় ধরনের সংকটের মধ্যে পড়বে।’
অধ্যাপক রিয়াজের বহিষ্কারের খবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, ‘আমি অবাক হয়েছি বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে এসে জেন্ডার স্টাডিজের প্রাসঙ্গিক চিত্র ব্যবহারকে অশ্লিল হিসেবে গণ্য হচ্ছে। মেডিকেল সাইন্সের মত জেন্ডার স্টাডিজে অনেক প্রাসঙ্গিক চিত্র ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে যা একজন জেন্ডার স্টাডিজ অধ্যাপকের এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
পূর্বপশ্চিমের পক্ষ থেকে ওই কোর্সে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই নিজের নাম প্রকাশের শর্তে অধ্যাপক রিয়াজুলের কোর্সের প্রশংসা করে মন্তব্য দিতে রাজি হয়েছেন। আবার বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। তাদের ভাষ্য, নাম প্রকাশ করে শিক্ষকদের নিয়ে যে রাজনীতি চলছে তার শিকার হতে চান না। তবে অধ্যাপক রিয়াজুল তার কোর্সের বাইরে কোনো কনটেন্ট শ্রেণিকক্ষে প্রদর্শন করেননি বলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী মতামত দিয়েছেন।
ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, কোর্স শেষে তাদের মন্তব্য নেওয়ার জন্য একটি শিট দেয়া হয়েছিল। যেখানে শিক্ষার্থীরা তার নাম প্রকাশ না করে মন্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভাষ্য সেখানে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেউ অধ্যাপক রিয়াজুলের বিরুদ্ধে কিছু লিখেতে পারে। তবে ওই শিটে যেহেতু মন্তব্যকারীর নাম ছিল না, সেহেতু সেখানে কোনো শিক্ষক ষড়যন্ত্র করে কিছু লিখে দিলে তাও ধরার কোনো উপায় নেই। গোপন সূত্রে জানা গেছে, ক্লাশ রিপ্রেজেন্টেটিভ (সিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের জুনিয়র ডিরেক্টর মো. নাজিম উদ্দিন, জুনিয়র ডিরেক্টর রাফিয়া সুলতানা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. সিরাজুল ইসলাম কোর্স শিক্ষক অধ্যাপক রিয়াজুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। তবে তারা ওই অভিযোগপত্রে ঠিক কি লিখেছেন তা এখনো জানা যায়নি।
তবে অধ্যাপক রিয়াজুল হক পূর্বপশ্চিমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিলে উচিত ছিল প্রথমে তাকে জাননো। এছাড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হলেও তাকে লিখিতবাবে জানানো উচিত। অধ্যাপক রিয়াজুল বলেন, আমাকে এখন (৮ মার্চ) পর্যন্ত কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। আমি গণমাধ্যম থেকেই প্রথম জানতে পারি আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আমাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
অধ্যাপক রিয়াজুল হক বলেন, ‘২০১১ সাল থাকে আমি একই কোর্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, নর্থসাউথসহ আরও ৫-৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছি। সেখানে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ অনেক কর্মকর্তারাও ছিলেন। কিন্তু কেউ কখনও আপত্তি তো করেননি উল্টো প্রশংসা করেছেন, পুরষ্কৃতও করেছে কেউ কেউ।’
এই অধ্যাপক বলেন, এই ঘটনার মাধ্যমে আমাকে মানসিকভাবে কঠিন শাস্তি দেয়া হয়েছে। আমার ঘরে দুই বোন ক্যান্সার আক্রান্ত । এক বোন হাই প্রেসারের রোগী। এ খবর শোনার পর তারা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমার বাবা মোজাম্মেল হক একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি। ষড়যন্ত্রমূলক এই ঘটনার পর আর মানসম্মানের সর্বনাশ তো করা হয়েছেই এমনকি বাঁশেরকেল্লার সমর্থকরাও আমার পিছু নিয়েছে। তাদের হুমকির কারণে আমি বাসা থেকে বের হতে পারছি না ।