বার্তা ডেক্সঃঃএক দিনের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরেক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসা থেকে তৌহিদুল ইসলাম সিয়াম নামে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পরিবারের সদস্য ও সহপাঠীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে সিয়ামের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি নিহতের পরিবার। এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীর আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টারের নিজ কক্ষ থেকে ঢাবি শিক্ষার্থী রুমানা ইয়াসমিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়। সিয়ামের সহপাঠীরা জানান, সিয়াম খুবই শান্তশিষ্ট ছিলেন। এভাবে তার চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। গত রাতে তাকে ফেসবুকে অ্যাকটিভ দেখা গেছে। আজ ভোরে তার মৃত্যুর খবর জানা গেল।
তারা আরও জানান, সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় দুপুরের দিকে সিয়ামের মা তার শয়নকক্ষের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেন। এতেও কাজ না হওয়ায় দরজা ভেঙে দেখেন সিয়াম ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত হতাশায় ছিলেন সিয়াম। সিয়ামের চাচা মুকুল জানান, সিয়ামের এভাবে চলে যাওয়ার কারণ তাদের জানা নেই। ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তদন্তের মাধ্যমে হয়তো প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে। মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানতে পেরে সিয়ামের বাসায় গিয়েছি। তার এভাবে মৃত্যুর কারণ কেউ বলতে পারছেন না। তার বাবার কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই সিয়ামকে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সিয়াম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সিয়াম মোহাম্মদপুর নূরজাহান রোডের বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের হিজলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের একমাত্র ছেলে তিনি। গ্রামের বাড়িতে সন্ধ্যায় তাকে দাফন করা হয়েছে। এর আগে পারিবারিক কলহের জেরে শুক্রবার রাতে আত্মহত্যা করেন রুমানা। তিনি ঢাবির পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া ৩৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে আনসার বাহিনীর সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রশিক্ষণরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৫৩ বার