তাহিরপুরের লাকমাছড়া সীমান্তে ৪ মেঃটন চোরাই কয়লা জব্দ
তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমাছড়া এলাকা থেকে ৪ মেঃটন (৮০থেকে ৮৫কেজি ওজনের ৫২বস্তা) ভারতীয় চোরাই কয়লা জব্দ করেছে বিজিবি। আটককৃত চোরাই কয়লার মূল্য ৪০হাজার টাকা। বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের দুধেরআউটা গ্রামের চাঁদাবাজি মামলা নং-জিআর ১৬৩/০৭ইং এর জেলখাটা আসামী চিহ্নিত চোরাচালানী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া,লালঘাট গ্রামের বিজিবির উপর হামলার মামলাসহ মদ,হুন্ডি ও চাঁদাবাজি মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,লাকমা গ্রামের আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,ইদ্রিস মিয়া,তিতু মিয়া,রতন মহলদার,মানিক মহলদার,আইয়ুব আলী,রফিকুল ইসলাম,কামরুল মিয়া গং প্রতিদিনের মতো আজ ২৮.১০.১৭ইং শনিবার ভোর ৫টায় বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক রহিম ও আজিজ এর সহযোগীতায় লাকমাছড়া পূর্ব পাড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে ৩০০বস্তা কয়লা পাচাঁর করে লাকমাছড়া পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল হাই,সোনা মিয়া,আব্দুর রহিম,বাদশা মিয়া,সাদ্দাম মিয়া,তিতু মিয়া,রতন মহলদার,কামরুল মিয়া,আব্দুল হাকিম ও রফিকুল ইসলামের বাড়িতে মজুদ করে রাখে। এখবর পেয়ে টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার রাশেদ খান অভিযান চালিয়ে চোরাচালানী আব্দুল হাইর বাড়ি থেকে ২৫বস্তা,আব্দুর রহিমের রান্না ঘর থেকে ১৫বস্তা ও বাদশা মিয়ার বাড়ি থেকে ১২বস্তাসহ মোট ৫২বস্তা (৪ মেঃটন) কয়লা আটক করে। কিন্তু চোরাচালানীদের গ্রেফতার করতে পারেননি। এব্যাপারে টেকেরঘাট ও বড়ছড়া শুল্কষ্টেশনের ব্যবসায়ী রাসেল আহমদ,শরিফুল হক,জমির মিয়া,রহমান মিয়াসহ আরো অনেকে বলেন,সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন কয়লা পাচাঁর করে ১ বস্তা কয়লা থেকে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৭০টাকা,এই ক্যাম্পের নায়েক রহিমের নামে ১০টাকা,আজিজের নামে ১০টাকা,টেকেরঘাট ক্যাম্পের এফএস শহিদের নামে ১০টাকা,সাংবাদিকদের নামে ৫০টাকা,থানার নামে ৫০টাকা চাঁদা উত্তোলন করে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে চোরাচালানী জিয়াউর রহমান জিয়া,কালাম মিয়া,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,রতন মহলদার ও ইদ্রিস আলী। এই সব চিহ্নিত চোরাচালানীরা বালিয়াঘাট ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্প এলাকার লাকমাছড়া ও টেকেরঘাট এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের পাশাপাশি ভারত থেকে ওপেন চুনাপাথর,বল্ডার পাথর,মদ,গাঁজা,হেরুইন ও ইয়াবা পাচাঁর করছে। বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার কেরামত বলেন,চোরাচালানের বিষয়টি আমার জানা নেই এব্যাপারে আমরা খোঁজ খবর নিয়ে দেখব। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন বলেন,সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।